মালয়েশিয়ায় অভিবাসীরা শ্রমিক ভিসায় কাজের পাশাপাশি দীর্ঘদিন থেকে ছোট ও মাঝারি ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এসব ক্ষুদ্র ব্যবসা বন্ধ করতে কঠোর ভাবে কাজ করছে অভিবাসন বিভাগ।
অভিবাসী কর্তৃপক্ষ জানায়, বাংলাদেশি অভিবাসীরা কাজের ভিসায় এসে বৈধ কর্মস্থল ত্যাগ করে ব্যবসার সাথে জড়িয়ে শ্রমিক ভিসা পারমিটের অপব্যবহার করছে।
মালয়েশিয়ায় শ্রমিক ভিসা বন্ধে সম্প্রতি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম নিউ স্ট্রাইটিস টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হয়, সমস্যাটি স্বীকার করে অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক সেরী মোস্তফার আলী নিউ স্ট্রাইটিস টাইমসকে বলেছেন, গত দুই মাসে ৭ হাজার ২২৫ জন অভিবাসীকে আটক করেছে অভিবাসন বিভাগ। এরা বেশিরভাগই কাজের ভিসায় এসে এখন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। যা মালয়েশিয়ান আইন অনুসারে অবৈধ।
এছাড়া অবৈধ বিদেশি কর্মীদের আশ্রয় দানের জন্য ১৬১ জন স্থানীয় নিয়োগকারীদেরও আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। মোস্তফার নিয়োগকারীদের দোষারোপ করেন যে, তারা বিদেশি কর্মীদের ভিসার অপব্যবহার করে অন্যক্ষেত্রে কাজ করার অনুনতি দেয়। অভিবাসীরা তাদের কর্মস্থলের মজুরি ছেড়ে বেশি অর্থ অর্জনের জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী।
মোস্তফার বলেন ‘স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ব্যবসা লাইসেন্সের অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে। আমরা কুয়ালালামপুর সিটি হলের চেষ্টার প্রশংসা করি, তাদের এটাও নিশ্চিত করতে হবে যে তাদের কর্মীদের অর্ধেক হবে স্থানীয়।
মোস্তফার এনএসটি স্পেশাল প্রোবস টিম ও মেয়র তান শ্রী এমডি আমিনকে সঙ্গে নিয়ে লিমবা পুডু এলাকাতে অভিযান পরিচালনা করেন। তিনি বলেন, এ এলাকাটি ব্যবসার জন্য হতাশাজনক, বিদেশিদের দ্বারা এখানে অবৈধ ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে।
অভিবাসীদের অবৈধভাবে ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, আমরা একটি নতুন নীতি চালু করেছি। এ বছরে সমস্ত ব্যবসা প্রাঙ্গণে নোটিশ পাঠিয়েছি এবং অবশ্যই তা মেনে চলতে হবে। যদি তারা ব্যর্থ হয়, আমরা তাদেরকে শোকজ বার্তা পাঠাবো।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন