পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে ১৬ বৈশাখ রবিবার পালিত হলো বৈশাখী বরণ উৎসব ১৪২৫ বঙ্গাব্দ। এ উপলক্ষে লিসবনের ওরিয়েন্ট যাদুঘরের হলরুম ও প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় জমজমাট বৈশাখী অনুষ্ঠানের। রবিবার ছুটির দিন থাকায় বিপুলসংখ্যক প্রবাসীর পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে ওরিয়েন্ট যাদুঘর প্রাঙ্গণ।
প্রতিবছর সব শ্রেণির সব বাঙালি এ দিনটিকে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালন করে ঠিক তার ব্যাতিক্রম নয় প্রবাসী বাঙালিরাও। বাংলা নববর্ষকে ঘিরে পুরনো দুঃখ-গ্লানিকে ভুলে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে পর্তুগাল প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
''লিসবনের এই শহরে কথা হবে প্রাণ খুলে, জানিয়ে দিলাম আমি তোমাকে ! দেখা হবে রে হবে দেখা হবে রে হবে, দেখা হবেই হবে পহেলা বৈশাখে''....। বছর ঘুরে আবার এলো উৎসবপ্রিয় বাঙালির আনন্দঘন দিন পহেলা বৈশাখ। গুটি গুটি পায়ে বাংলা বছর এসে থামলো ১৪২৫ এর দুয়ারে।
মঙ্গল শোভাযাত্রা উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে বৈশাখ উদযাপনের কার্যক্রম শুরু করেন রাষ্ট্রদূত মোঃ রুহুল আলম সিদ্দিকী। এরপর শোভাযাত্রাটি ওরিয়েন্ট যাদুঘরের সামনের মূল রাস্তা প্রদক্ষিন করে। শোভাযাত্রায় নানান বয়সের প্রবাসী বাংলাদেশি ছাড়াও পর্তুগিজরা যোগ দেন।
এরপর ''কালার অফ বাংলাদেশ'' শীর্ষক দেশীয় পোশাক ও চিএকলা প্রদর্শনী মাধ্যমে বৈশাখী বরণ উৎসবের দিনের অনুষ্ঠানের সূচনা করেন রাষ্ট্রদূত, পর্তুগাল সরকারী ও বিভিন্ন দেশের আগতো কুটনৈতিক অতিথিবৃন্দ। এরপর দেশীয় লোকজ গান, আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিবাহ অনুষ্ঠানের নাটিকা অনুষ্ঠিতো হয়।
এই সময় সকলের মাঝে ছিল বৈশাখী সাজ, রঙিন পাঞ্জাবি, বৈশাখী শাড়ী। দুপুরে বৈশাখী বরণ উৎসবে আগতো অতিথি এবং প্রবাসীদের জন্য আয়োজন করা হয় দেশীয় পান্তা ভাত, হরেক রকমের ভর্তা, ইলিশ ভাজা আর মিস্টান্ন।
বৈশাখী উৎসবের বিকেলের পর্বে ছিল, ওরিয়েন্ট যাদুঘরের হল রুমে প্রবাসী বাংলাদেশীদের অংশ গ্রহনে দেশীয় নৃত্য, গান এবং প্রবাসী ফ্যাশন ডিজাইনার শারমিন মৌ'র তত্বাবধানে দেশীয় শাড়ী, পাঞ্জাবি পোশাকের ফ্যাশন শো। এতে অংশনেয় পর্তুগালে অধ্যায়নরত বিভিন্ন দেশের ছাএ-ছাএী ও প্রবাসী বাংলাদেশীগন।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর