বাঙ্গালীর আবহমান সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটিয়ে ২৮ এপ্রিল আঙ্কারা কেচিওরান উদ্যানে বাংলাদেশ দূতাবাসে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসবেরও আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেচিওরান মিউনিসিপালিটি’র মেয়র জনাব মোস্তফা আক্। এছাড়াও আঙ্কারায় নিযুক্ত বিভিন্ন দূতাবাসের কূটনীতিক, সামরিক উপদেষ্টা, তুরস্কের উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, সুশীল সমাজ ও সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বাঙ্গালী সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে দেশী-বিদেশী (বাংলাদেশী ১৪ জন ও তুর্কী ১৪ জন) শিশু শিল্পী সমন্বয়ে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর পরিচালক আনজির লিটনের নেতৃত্বে ঢাকা থেকে আগত একাডেমীর সদস্যরা এতে অংশ নেয়। প্রথমে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী থেকে আগত শিশুশিল্পীরা বাংলা নববর্ষ বিষয়ক বিভিন্ন নৃত্য পরিবেশনা করে। পরে তুরস্কের স্থানীয় শিল্পীরা বিভিন্ন ধরনের তুর্কী নৃত্য পরিবেশনা করে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালীন দূতাবাস বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পটভূমি, বর্ণময় পহেলা বৈশাখ এবং চলমান আর্থ-সামাজিক উন্নয়ণ কর্মসূচির ওপর একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. আল্লামা সিদ্দীকী বলেন, বাংলা নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসব। এ উৎসব বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন তৈরি করে। আর বাঙ্গালীর ঐতিহ্যকে তুরস্কের জনসাধণের মাঝে ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশ দূতাবাস আঙ্কারা নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত এ পিঠা উৎসবে প্রায় ১০ প্রকারের বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পিঠা ছাড়াও বিভিন্ন প্রকারের বাঙ্গালী খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/১লা মে ২০১৮/হিমেল