বৈশাখ মাস শেষ হতে চললেও প্রবাসে এখনো কমেনি বৈশাখের আমেজ। শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক শিক্ষিকা ও স্থানীয় প্রবাসী বাঙালিদের সরব উপস্থিতিতে প্যারিসের লাকুরনভে সংলগ্ন পার্কে এ উৎসবের আয়োজন করে ফ্রেঞ্চ-বাংলা স্কুল।
অনুষ্ঠানে দল মতের সকল ভেদাভেদ ভুলে প্রবাসীরা উৎসবের আমেজে মেতেছিল আড্ডা আর খোশ গল্পে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ কে বরণ করে নেয়া হয়।
বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্কুলের পরিচালক ফাতেমা খাতুন ও বাংলা স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জামিরুল ইসলাম মিয়া।
এ ছাড়াও বক্তব্য দেন ফ্রান্সে বাংলাদেশ দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব দয়াময়ী চক্রবর্তী এবং লাকুরনভ মেরীর ভী এসোসিয়েটিবের প্রধান ভিনসেন কূলজ্জা, সায়েদা আক্তার, আশরাফ ইসলাম, আমিন খান হাজারী, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, আলী হোসেন প্রমুখ।
বৈশাখের উৎসবকে রাঙ্গিয়ে তুলতে আয়োজন করা হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, পিঠা-পায়েস, শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, র্যাফেল ড্র, নৃত্য এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ।
বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতি তুলে ধরে ফ্রেঞ্চ বাংলা স্কুলের শিক্ষার্থীরা কয়েকটি মনোমুগ্ধকর নৃত্য ও সংগীত পরিবেশন করেন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্টান গান পরিবেশন করেন ইমতিয়াজ রনি, আতাউর খন্দকার বেণু ও নাজনীন খন্দকার মুন্নী, বাবু তপন কুমার দাস, বলরাম রাজ, পুস্পিতা নন্দী ও নৃত্য পরিবেশন করেন শরীফুল ইসলাম।
শেষ পর্বে শিশু কিশোর, অভিভাবক ও অতিথিবৃন্দের অংশগ্রহণে বিভিন্ন খেলার আয়োজন করা হয়। ক্রীড়া প্রতিযোগীতার সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও ফয়সাল আহমেদ দ্বীপ ।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার শুরুতে অতিথিদের বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পিঠা, কদমা, বাতাসা, জিলাপি, গজা, পেঁয়াজু ও ঝালমুড়ি পরিবেশন করা হয়। এছাড়া মধ্যাহ্ন ভোজে অতিথিদের ভাত-ইলিশ মাছ, মাংসসহ হরেক পদের ভর্তা ও অন্যান্য দেশীয় খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
সবশেষে দিনব্যাপী আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন