দীর্ঘ এক বছর পর ভারতের কারাগার থেকে মুক্তি মিলল বাংলাদেশি নাগরিক উনমতি বালা বিশ্বাস (১০৩) এবং তার ছেলে রাধিকা বিশ্বাসের (৬০)। মঙ্গলবার দুপুরে অাসামের শিলচর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান উনমতি ও তার ছেলে। বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে গত এক বছর ধরে এই কারাগারেই ছিলেন উনমতি বালা।
গত সোমবার শিলচরের কাছার আদালত তাদের কারাগার থেকে মুক্তি দেন। এরপর মঙ্গলবার আদালতের সেই নির্দেশ কার্যকর হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে ভারত প্রবেশের অভিযোগে গত বছরের ২৫ মে বাংলাদেশের সিলেটের জগন্নাথপুর থানার বড় শেওড়া গ্রামের বাসিন্দা বৃদ্ধা উনমতি বালা বিশ্বাস ও তার ছেলে রাধিকা বিশ্বাসকে আটক করা হয়। শিলচর মালুগ্রাম সর্বোদয় স্কুল চত্বর থেকে মা ও ছেলেকে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরতে দেখে তাদের গ্রেফতার করে অাসাম পুলিশ। এরপরই তাদের স্থান হয় শিলচর কেন্দ্রীয় কারাগারে।
এরই মধ্যে গত সোমবার উনমতি বালা ও তার ছেলের হয়ে তাদের আইনজীবি রঞ্জু দেব আদালতে জানান নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসতে বাধ্য হন তার মক্কেল। তাই ২০১৫ সালের উদ্বাস্তু নোটিফিকেশন অনুযায়ী তারা শরণার্থী হিসেবে ভারতে আশ্রয় পাওয়ার যোগ্য। পরে আদালতের প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট রুপশ্রী দেব সেই যুক্তি মেনে ওই দুই বাংলাদেশি নাগরিককে ভারতে থাকার পক্ষে রায় দেন। সেই রায় অনুযায়ী মঙ্গলবার শিলচর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাদেরকে মুক্ত করে দেওয়া হয়। কিন্তু আদালত থেকে মুক্তি পেলেও আইনি জটিলতায় এখনই তাদের বাংলাদেশে ফেরত আসা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা গেছে।
সেক্ষেত্রে শিলচরের গোবিন্দ আশ্রমেই ছেলেকে নিয়ে আশ্রয় নেবেন মা উনমতি বালা বিশ্বাস।
বিডি প্রতিদিন/ ৩১ মে ২০১৮/ ওয়াসিফ