বরাবরের মত এখনও বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র চলছে প্রবাসে। নির্বাচন এলেই স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তিগুলো নানাভাবে তৎপর হয় মুক্তিযুদ্ধের নাম-নিশানা মুছে ফেলতে। এ ধরনের ষড়যন্ত্র নস্যাতের জন্যে প্রবাসীদের সজাগ রাখতে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করবে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের যুক্তরাষ্ট্র শাখা-এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন এ পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ডা. কামরুল হাসান খান।
১ জুলাই যুক্তরাষ্ট্র শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা উপলক্ষে নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে পালকি পার্টি সেন্টারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব কামরুল হাসান খান বলেন, বলতে দ্বিধা নেই যে, একাত্তরের ঘাতকদের বিচার দাবিতে চলমান পরিস্থিতিকে সুসংগঠিত করতে আমাদের এই সংগঠনের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ২০০৮ সালে আমরা ২১ দফা কর্মসূচি দিয়েছিলাম, সেখানেই এটি অন্যতম একটি দাবি ছিল যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হবার পর বাস্তবায়িত করেন। এ ধরনের আরো কিছু দাবির প্রতিফলন ঘটেছে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের মাধ্যমে।
মহাসচিব বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, এখন থেকে সামনের নির্বাচন পর্যন্ত সময়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার জন্যে। কারণ, গভীর ষড়যন্ত্র চলছে চারদিকে। যে কোন উপায়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী শক্তিকে ক্ষমতায় বসানোর। এ অবস্থায় দেশ ও প্রবাসে সকল পেশাজীবী-শ্রমজীবী-মেহনতি মানুষকে সজাগ থাকতে হবে। জোটবদ্ধ করতে অগ্রনী ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে পেশাজীবী সমন্বয় রপরিষদকে।
এ সময় নতুন কমিটির গুরুত্বপূর্ণ কটি পদে অন্তর্ভুক্তদের নাম প্রকাশ করেন মহাসচিব। এরা হলেন : সভাপতি-মুক্তিযোদ্ধা ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল হক, সাধারণ সম্পাদক-কৃষিবিদ আশরাফুজ্জামান, সহ-সভাপতি-মুক্তিযোদ্ধা-সাংবাদিক রাশেদ আহমেদ, ড. এম এ বাতেন, এডভোকেট মোহাম্মদ আলী বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক-স্বীকৃতি বড়ুয়া, প্রচার সম্পাদক-এডভোকেট মোর্শেদা জামান। প্রধান উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা ড. মহসিন আলী।
সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান জানান, শীঘ্রই পুরনো আহ্বায়ক কমিটি এবং নবগঠিত কমিটির সকলে বৈঠকে মিলিত হয়ে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অন্য সকল পদ পূরণ করা হবে। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে একটি সমাবেশের মধ্য দিয়ে নতুন কমিটির আত্মপ্রকাশ ঘটানোর কথা ভাবছেন কর্মকর্তারা। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে পরামর্শ করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন