ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ বলেছেন, ‘ফাউল টক করে মানুষকে ধোকা দেয়ার দিন শেষ। এখন সবকিছু হাতের মুঠোয়। কাউকেই বোকা ভাবার অবকাশ নেই। আর এটি সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের কারণে। ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার জয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী তারই মা জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষতাপূর্ণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সকলেই সবকিছু জানতে সক্ষম হচ্ছেন। চট্টগ্রামে কী হচ্ছে তা আপনারা এই নিউইয়র্কে বসেই অনুধাবনে সক্ষম হচ্ছেন। তাই সাময়িক হাততালি পাবার জন্য মিথ্যার অবতারণা তথা অতিরঞ্জণে কোন লাভ নেই।’
যুক্তরাষ্ট্রে চট্টগ্রামবাসীর কল্যাণে প্রতিষ্ঠিত ‘চট্টগ্রাম সমিতি’র উদ্যোগে মঙ্গলবার রাতে এক মতবিনিময় সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, ‘এরশাদের আমলেও উন্নয়ন দেখেছি। তবে তা সীমাবদ্ধ ছিল রাজধানী ঢাকা এবং রংপুরে। আর এখন সমতার ভিত্তিতে সারা বাংলাদেশে উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন বাস্তবে উদভাসিত। চট্টগ্রামে দীর্ঘতম ফ্লাইওভার হয়েছে। চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতার অবসানে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। টানেল হচ্ছে চট্টগ্রামে। এভাবেই ৫৬ হাজার বর্গমাইলের ছোট্ট একটি বাংলাদেশ ১৬/১৭ কোটি মানুষের ভারে জর্জরিত হওয়া সত্বেও অবশিষ্ট বিশ্বের কাছে উন্নয়নের বিস্ময়ে পরিণত হয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ উন্নয়নে বিশ্বাসী এবং সেপথেই হাঁটছে বাংলাদেশ। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অটুট রাখার স্বার্থেই সামনের নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠনের বিকল্প নেই এবং আমরা আশাবাদী সে রায়ই দেবেন সচেতন বাঙালিরা।’
চট্টগ্রাম-১১ আসনের এমপি জাভেদ বলেন, অক্টোবরে আমরা সবাই পদত্যাগ করবো। ডিসেম্বরের নির্বাচনে চট্টলার মানুষ যদি আবারো এমপি হিসেবে নির্বাচিত করেন, তাহলে হয়তো নবরূপে সাক্ষাত ঘটবে আপনাদের সাথে। এজন্যে আপনাদের দোয়া চাই।
চট্টগ্রাম সমিতির সভাপতি আব্দুল হাই জিয়ার সভাপতিত্বে নিউইয়র্ক সিটির ব্রুকলীনে ‘চট্টগ্রাম ভবন’-এ অনুষ্ঠিত এ সমাবেশ পরিচালনা করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী খান লিটন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে চট্টগ্রামের সন্তান ও যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি হাজী আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, সামনের নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রার্থী বাছাইয়ে যেন সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। নানাবিধ কারণে যারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন, তাদেরকে যেন মনোনয়ন দেয়া না হয়।
চট্টগ্রামের সন্তান এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি লুৎফুল করিম বলেন, ঠেঙ্গার চরের সীমানা নিয়ে স্বদ্বীপ এবং নোয়াখালীর মধ্যেকার বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়া জরুরী। এজন্য ভূমি প্রতিমন্ত্রীর সোচ্চার হওয়ার বিকল্প নেই।
চট্টগ্রাম সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের বলেন, আমরা যারা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছি, তাদেরকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত করা হয়েছে। অথচ সেটি হচ্ছে আমাদের জন্মস্থান। সে অধিকার হরণের ক্ষমতা কারোর থাকা উচিত নয়।
চট্টগ্রাম সমিতির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হানিফ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। সেই সাথে চট্টগ্রামে আরো বেশী উন্নয়ন দেখতে চাই। চট্টগ্রাম যেন পিছিয়ে না থাকে।
আরো বক্তব্য রাখেন শামসুল আলম চৌধুরী, আবুল কালাম, হাসান চৌধুরী, নাজিমউদ্দিন, সাহাবুদ্দিন চৌধুরী লিটন।
নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো ছিলেন সন্দ্বীপ এসোসিয়েশনের সভাপতি আশরাফ হোসেন, যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক হাজী জাফরউল্লাহ, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু প্রজন্মলীগের সেক্রেটারি মাসুদ রানা প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/২৫ জুলাই ২০১৮/হিমেল