একসময় পরিবারের সুখের লক্ষ্যে নিজ দেশ ছেড়ে প্রবাসী হয়েছিলেন মতিয়ার। যে পরিবার পরিজনের সুখের জন্য হয়েছিলেন পরবাসী, আজ সেই প্রিয় মানুষ গুলোর নিকট ফিরে যাওয়াই যেন আজ মতিয়ারের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন। বলছিলাম মালয়েশিয়া টেংকু আম্পোয়াং জেম্মাহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চেতনহারা মতিয়ারের কথা ।
গত মার্চ মাসের প্রথম দিকে কাজ থেকে বাসায় ফেরার সময় জ্ঞান হারিয়ে রাস্তায় পড়ে থাকলে অপরিচিত কয়েকজন লোক ক্লাং হাসপাতালে ভর্তি করেন তাকে। কয়েক দিন চিকিৎসা দেয়ার পর তার অবস্থার অবনতি হলে ক্লাং হাসপাতাল থেকে টেংকু আম্পোয়াং জেম্মাহ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মতিয়ারের অভিবাবক খুঁজতে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে যোগাযোগ করলে হাইকমিশন হাসপাতালে পাঠানো হয় হাইকমিশনের কল্যাণ সহকারী মো. মুকসেদ আলীকে।
তিনি জানান, নিজের নাম মতিয়ার, বাবা সামসুর রহমান, জেলা পাবনা আবার বলছেন তার বাড়ি কুমিল্লা। এছাড়া আর কিছুই বলতে পারছেন না মতিয়ার। তাই সঠিক ঠিকানা না পেলে তার পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। মতিয়ার মালয়েশিয়ার জেম্মাহ হাসপাতালের ৪১ নম্বর বেডে পড়ে রয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে।
মতিয়ার কথা বলতে না পারলেও কেউ কথা বললে আঁচ করতে পারেন। হাইকমিশনের এ কর্মকর্তাকে দেখে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকেন। তার কাছে কোনো কাগজপত্র নেই বলেও মুকসেদ আলী জানান। এ বিষয়ে দূতাবাসের শ্রম শাখার দ্বিতীয় সচিব মো. ফরিদ আহমদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মতিয়ার প্রকৃত বাংলাদেশি নাগরিক কিনা যাচাই করা হচ্ছে। নাগরিকত্ব নিশ্চিত সাপেক্ষে বাংলাদেশে প্রেরণ করা যাবে।
মতিয়ারের আত্মীয়স্বজন চিহ্নিত করে হাইকমিশনের কল্যাণ সহকারীর (+৬০১২৩৬৫৬৫৪০) এই নম্বরে জানানোর জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
বিডি প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর