অস্ট্রেয়ার মেলবোর্ন পলিটেকনিকে প্রতি বছরের মতো এবারও 'প্রিন্ট অকশন নাইট' অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অস্ট্রেলিয়ায় ফটোগ্রাফি অ্যাডুকেশনে অন্যতম সনামধন্য প্রতিষ্ঠান মেলবোর্ন পলিটেকনিক গত ৯ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে মেলবোর্ন পলিটেকনিকের ছাত্র ছাত্রীদের প্রায় শতাধিক ছবির মধ্য থেকে প্রজেক্টের সেরা ছবিগুলোর বিশেষ প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়। দিন শেষে নিলামের মাধ্যমে ছবিগুলো বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়।
'প্রিন্ট অকশন নাইট' অনুষ্ঠানে স্থান পেয়েছে ‘ব্রুটালিটি এগেইনস্ট হিউম্যানিটি’ প্রজেক্টের দুটি ছবি।
একটি ছবির নাম "কালার", যেখানে এক রোহিঙ্গা কিশোরের চোখকে কেন্দ্র করে তোলা হয়েছে। "কালার" শব্দটির মানে দাঁড়ায় বহিরাগত। মিয়ানমারে মূলত রোহিঙ্গাদের গালি দিতে এ শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
দ্বিতীয় ছবিতে এতিম দুইটি শিশুকে দেখানো হয়েছে। ৪ বছরে শিশু আছমা তার ১০ বছর বয়সী ভাইয়ের হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছে।
‘ব্রুটালিটি এগেইনস্ট হিউম্যানিটি’ বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহর, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন অ্যান্ড ইতালিতে প্রদর্শিত হয়েছে।
সম্প্রতি লন্ডনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘রোহিঙ্গা সংকট: বহুমাত্রিক প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এক বিশেষ অধিবেশনে কানাডা থেকে প্রকাশিত "ফোর্সড মাইগ্রেশন অব রোহিঙ্গা: দ্য আনটোল্ড অ্যাক্সপেরিয়েন্স" গবেষণা গ্রন্থটি উপস্থাপন করা হয়।
গত বছরের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চল থেকে নির্বিচারে নির্যাতন, ধর্ষণ, গণহত্যা ও উচ্ছেদ অভিযানের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা। এছাড়া মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ঘৃণ্যতম নৃশংসতায় অন্তত ২৪ হাজার রোহিঙ্গা প্রাণ হারান।
গত নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী আলোকচিত্র শিল্পী সালাহউদ্দিন আহমদসহ ফিল্মস ফর পিস ফাউন্ডেশন দলটি উখিয়া থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প সরেজমিনে পরিদর্শন করে রোহিঙ্গাদের বর্তমান অবস্থা আলোকচিত্র ও চলচ্চিত্রে ধারণ করেছিলেন।
পরবর্তীতে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নরওয়ের গবেষক দল কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরে আশ্রয় নেওয়া তিন হাজার ৩০০ রোহিঙ্গা পরিবারের বিস্তারিত সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে।
বিশ্বব্যাপী প্রচার-প্রচারণা, রোহিঙ্গাদের সম্মানের সাথে মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন, পুনর্বাসন করতেই ধারাবাহিকভাবে এই কাজগুলো করা হচ্ছে।
আলোকচিত্রশিল্পী সালাহউদ্দিন আহমদ সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছেন যেন রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়ে যেন মিয়ানমারের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম