কাতার প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, আঞ্চলিক ও পেশাজীবী সংগঠনকে একত্রিত করে প্রথমবারের মতো আত্মপ্রকাশ করেছে বাংলাদেশ কমিউনিটি কাতার।
অনুষ্ঠান শুরুতেই আগত অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন শিশু কিশোরা। বাংলাদেশ কমিউনিটি কাতারের পক্ষ থেকে কাতার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপস্থিত সকল বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সম্মাননা স্মারক ও প্রশংসাপত্র প্রদান করা হয়।
আহবায়ক কমিটির মাধ্যমে ২০১৭ সালে এর যাত্রা শুরু হলেও শুক্রবার দোহার ক্রাউন প্লাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন আকনকে সভাপতি ও আমিন রসুল সাইফুলকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৬০ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ কমিউনিটি কাতার এর অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ কমিউনিটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ এম.পি। বিশেষ অতিথি ছিলেন কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমদ।
কাতার প্রশাসনিক উন্নয়ন, শ্রম ও সামাজিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের শ্রম বিষয়ক সহকারী সচিব মোহাম্মদ হাসান আল-ওবায়দী ও কাতার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট হামাদ আলী আল-মাররী।
অনুষ্ঠানে কাতার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট, ট্রাফিক অধিদপ্তর, আল ফাজা পুলিশ, ভিসা সহায়তা সেবা বিভাগ ও জনসংযোগ বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সচেতনতামূলক পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা ও বক্তব্য রাখেন। বক্তারা কাতারের অর্থনীতি ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশি দক্ষ শ্রমিক, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, এবং বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বিভিন্ন শ্রেণী পেশা ও সংগঠনের প্রতিনিধিরা প্রবাসী ও দেশবাসীর কল্যাণে একসাথে পথচলাকে অত্যন্ত ইতিবাচক মনে করেন প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী। তিনি অচিরেই বিদেশ গমনেচ্ছুদের ভিসা খরচ সর্বনিম্ন পর্যায়ে নিয়ে আশার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশে কাতারের ভিসা সেন্টার চালু হওয়ায় ভিসা প্রক্রিয়া স্বল্প সময়ের মধ্যে সমাধানের পাশাপাশি প্রতারিত হওয়ার থেকে রক্ষা পাবে কাতারে আগমনেচ্ছু নতুন শ্রমিকরা। তাছাড়া বর্তমান সরকার প্রবাসীদের জীবন মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন কাজ না করার অনুরোধ জানান। একজনের জন্য পুরো জাতি যেন কলঙ্কিত না হয় তাই সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে সঞ্চালনায় ছিলেন ওয়াজিহা, জার্রিন, মীম ও সুমাইয়া। শুরুতেই কোরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা ইউসুফ নুর। এসময় বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও পিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
ভিডিওচিত্রের মাধ্যমে কাতারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভিসা সাপোর্ট সার্ভিসেস বিভাগ, ট্রাফিক বিভাগ ও মাদকতা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ বিভাগ গণসচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠান শুরুতেই কেক কাটার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে কমিউনিটির আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয়। পরে কেক কাটার মধ্যে কমিউনিটির বিভিন্ন নেতৃবৃন্দরা অংশগ্রহণ করেন। নৈশভোজের মাধ্যমে এই বর্ণাঢ্য আয়োজনের সমাপ্তি হয়।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন