শিগগিরই কংগ্রেসনাল বাংলাদেশ ককাসে যোগ দিচ্ছেন আলেক্সান্দ্রিয়া ওকাসিয়ো-করটেজ। নির্বাচনে প্রবাসীদের অপরিসীম শ্রম প্রদানের কারণে বাংলাদেশের প্রতি বিশেষ একটি মমত্ববোধ থেকেই মার্কিন কংগ্রেসে কনিষ্ঠতম সদস্য আলেক্সান্দ্রিয়া করটেজ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে ককাসের চেয়ারম্যানের শূন্য পদটি পূরণের ব্যাপারে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলেননি এই কংগ্রেসওম্যান।
বুধবার (২০ মার্চ) অপরাহ্নে নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট অফিসে ‘আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাব’র সভাপতি লাবলু আনসারের আহ্বানের প্রেক্ষিতে এ সংবাদদাতার কাছে ডেমক্র্যাটিক পার্টির এই কংগ্রেসওম্যান আরও বলেন, নবাগত অভিবাসী হিসেবে বাংলাদেশিরা অনেক ভালো করছেন। নিউইয়র্ক সিটি তথা যুক্তরাষ্ট্রকে সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে অভিবাসীদের অবদান অনস্বীকার্য। জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সকলেই গভীর আগ্রহে গড়ে তুলছেন যুক্তরাষ্ট্রকে।
কমিটিউনিটির বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার প্রতিনিধিত্বকারী লোকজনের সাথে নতুন এই অফিসে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন করটেজ। স্বভাবসূলভ ভঙ্গিতে সকলকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে আন্তরিকতার সাথে কাজের আহ্বান জানান এবং সামনের জাতীয় নির্বাচনে আমেরিকায় ডেমক্র্যাটদের বড় ধরনের বিজয় প্রদানের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ থাকতে বলেন।
উল্লেখ্য, কংগ্রেসওম্যানের এই ডিস্ট্রিক্ট অফিসের উপ-পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন বাংলাদেশি নওরীন আকতার। নওরীনও প্রবাসীদের সাথে সমন্বয় ঘটাচ্ছেন নানা বিষয়ে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, নিউইয়র্ক অঞ্চলে এই প্রথম একজন বাংলাদেশি-আমেরিকান কোনো কংগ্রেসম্যানের অফিসে পদস্থ কর্মকর্তার দায়িত্ব পেয়েছেন।
কংগ্রেসাল অফিসে বিশিষ্টজনদের মধ্যে গোলাম ফারুক শাহীন, মার্শাল মুরাদও ছিলেন। আরও উল্লেখ্য যে, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কংগ্রেসনাল বাংলাদেশ ককাসের কো-চেয়ার ছিলেন যোসেফ ক্রাউলি। গত নির্বাচনে করটেজের কাছে ক্রাউলি পরাজিত হওয়ায় ওই আসনটি শূন্য হয়ে পড়েছে। এর আগে কংগ্রেসম্যান গ্রেগরী মিক্সকেও অনুরোধ করা হয়েছিল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য। বিনয়ের সাথে তিনি তা প্রত্যাখান করে বলেছেন, সদস্য হিসেবে রয়েছি এবং সেভাবেই কাজ চালিয়ে যাবো।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম