রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধান ছাড়াও আর্থ-সামাজিক ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে বাংলাদেশকে সব ধরনের সহযোগীতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছে ইউরোপের শক্তিশালী রাষ্ট্র জার্মানি।
মঙ্গলবার জার্মানির বার্লিনে স্থানীয় একটি হোটেলে বাংলাদেশ দূতাবাস কতৃক আয়োজিত স্বাধীনতার ৪৯তম বছরে পদার্ণি উপলক্ষে কূটনীতিকদের সম্মানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত জার্মানির উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ও বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকবৃন্দ এসব কথা বলেন।
প্রথম সচিব সফিউল আজম জনীর উপস্থাপনায় দুদেশের জাতীয় সঙ্গীত ও বাংলাদেশের জন্মবার্ষিকীর কেক কেটে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেয়া বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষের সামাজিক অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। আর এই উন্নয়নের বড় অংশীদার বন্ধৃপ্রতিম দেশ জার্মানিও। এসময় রোহিঙ্গা ইস্যুসহ দেশের অবকাঠামো উন্নোয়নসহ বাণিজ্য ও আর্থ-সামাজিক খাতে বন্ধুদেশ জার্মানীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া প্যাসিফিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ইনা লেপেল।
তিনি বাংলাদেশের সকল অর্জনে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তবে রোহিঙ্গারা তাদের নিজেদের দেশ মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার বিষয়টি এখন অস্পষ্ট। তাদের সদিচ্ছা নিয়েও প্রশ্ন থেকেই যায়। বক্তব্যে তিনি বাংলাদেশের সকল সংখ্যালঘু ও আদিবাসীসহ ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বার সকল মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকারকে আহবান জানান।
এসময় জার্মানিতে নিযুক্ত অনারারী কনস্যুলারসহ বিদেশী কূটনীতিক ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও প্রবাসী কমিউনিটির প্রতিনিধিরাও ছিলেন উপস্থিত। অনুষ্ঠানে সম্মানিত করা হয় বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়া ৬টি জার্মান ও আন্তর্জাতিক সেচ্ছাসেবী সংগঠনকে। পরে সাংস্কৃতিক পর্বে অংশগ্রহণ করেন মীর জাবেদা ইয়াসমীন, আব্দুল মুনিম, আব্দুল হাই ও নৃত্যশিল্পী, শিক্ষার্থী ফারজানা শওকত শাহরীন। প্রদর্শন করা হয় বাংলাদেশের ওপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্রের।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দিন