মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও ছাড়াও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সাথেও হোয়াইট হাউজে বৈঠকে মিলিত হবেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেন।
৪ এপ্রিল এ তথ্য জানিয়েছেন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা।
৮ এপ্রিল সোমবার সকালে স্টেট ডিপার্টমেন্টে মার্কিন পরররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিকালে হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টার সঙ্গে একান্ত বৈঠকে বসবেন ড. মোমেন।
এছাড়া ৯ এপ্রিল মঙ্গলবার ইউএস সিনেটর ক্রিস মারফির সঙ্গে বৈঠক করবেন ক্যাপিটল হিলে।
দুদিনব্যাপী এ সফরের সময় ট্রাম্প প্রশাসনের আরও ক’জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, উন্নয়ন, রোহিঙ্গা সংকট, সন্ত্রাসবাদ নির্মূল, জিএসপি পুনর্বহাল, যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর ঘাতক এবং একাত্তরের ঘাতকদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারেও কথা হবে ড. মোমেনের।
উল্লেখ্য, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর গঠিত সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এটাই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর ড. মোমেনের।
ওই নির্বাচন নিয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের কোনো কোনো পর্যায়ে যে বিভ্রান্তি/প্রশ্নের অবতারণা করা হয়েছে তা নিরসনকল্পে বহুবছর যুক্তরাষ্ট্রের বসবাসকালে মার্কিন রাজনীতিকদের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক কাজে লাগাবেন ড. মোমেন।
বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ড.মোমেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ায় ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখার পক্ষ থেকে নাগরিক সংবর্ধনার ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। এটি ৭ এপ্রিল রবিবার বেলা ১২টায় জ্যাকসন হাইটসে বেলাজিনো পার্টি হলে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি মো. আব্দুল কাদের মিয়া।
এদিনই সকালে তিনি জেএফকে এয়ারপোর্টে অবতরণ করবেন।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী পরিবার, বাংলাদেশি আমেরিকান ব্যবসায়ী সমিতি, পিপলএনটেক ইন্সটিটিউটেও পৃথক পৃথক কর্মসূচিতে অংশ নেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগের আগে নিউইয়র্কে নিজস্ব ভবনে বাংলাদেশ কন্স্যুলেট অফিস স্থাপনের যে প্রক্রিয়া চলছে সে উপলক্ষে ম্যানহাটানে একটি ভবন পরিদর্শন করার কথাও রয়েছে ড. মোমেনের।
ইতোধ্যে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রস্তাব অনুযায়ী ম্যানহাটানে সুবিধাজনক স্থানে একটি ভবন ক্রয়ের গ্রিন সিগন্যালও দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
নিজস্ব এই ভবনটির নাম হবে ‘বঙ্গবন্ধু ভবন’-এমন প্রত্যাশা প্রবাসের মুক্তিযোদ্ধাদের। সেই ভবনের ওপর উড়বে লাল-সবুজের পতাকা। ভেতরে অফিস ছাড়াও থাকবে কমিউনিটি সেন্টার, কালচারাল সেন্টার, মুক্তিযুদ্ধের গবেষণা কেন্দ্র-লাইব্রেরি।
নিউইয়র্কে বিমান এলে সেখানেই স্থাপিত হবে কান্ট্রি ম্যানেজারের অফিস। থাকবে সোনালী এক্সচেঞ্জসহ রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠানগুলোর অফিস। অর্থাৎ একই ভবনে প্রবাসীদের বিভিন্ন সার্ভিসের ব্যবস্থা থাকবে।
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ড. মোমেনের একান্ত আগ্রহেই মিশনের নিজস্ব একটি অফিস ছাড়াও স্থায়ী প্রতিনিধির বাসভবন কেনা হয়েছে। সেটিরও উদ্বোধন করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। সামনের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদানকালে টানা তৃতীয় মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘বঙ্গবন্ধু ভবন’র উদ্বোধন করতে পারেন বলেও আশা করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম