দেশের বাহিরে যারা সাংবাদিকতা করছেন তারা অনেক কষ্ট করে এই কাজটি করছেন। জাতীয় প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃস্থানীয়দের সাথে প্রবাসী সাংবাদিকদের স্বীকৃতির বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো। আপনারাও এখান থেকে সংগঠনগুলোকে চিঠি লিখেন। আপনারা অনেক পরিশ্রম করছেন। স্বীকৃতি থাকবে না কেনো?
বুধবার দুপুর রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাস সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে একথা বলেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য সচিবআব্দুল মালেক। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে দুই হাজারের বেশি সংবাদপত্র বেড়িয়েছে। গণমাধ্যমকে অবাধ এবং মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। এখন ৩ হাজার ২ শর উপরে দৈনিক পত্রিকা আছে।
ইতিমধ্যে গণমাধ্যমকর্মী আইন এবং সম্প্রচার কতৃপক্ষ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে এবং মন্ত্রিসভা নীতিগত সমর্থন দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আইনটি নিয়ে মন্ত্রিসভায় ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। বর্তমানে সেটি আইন মন্ত্রণালয়য়ের মিটিং এর অপেক্ষায় রয়েছে, আপনারা দাবিগুলো আপনাদের কতৃপক্ষের কাছে পাঠান, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কাছে পাঠান। আমি আজকে যা শুনলাম যা বুঝলাম দেশে গিয়ে আলোচনা করে একটা পর্যায় নিতে পারব।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)র ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আব্দুল কালাম আজাদ, দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান ড. নজরুল ইসলাম, কার্যালয় প্রধান ড. ফরিদ উদ্দিন, শ্রম কাউন্সেলর মেহেদী হাসান, প্রথম সচিব (প্রেস) মো. ফখরুল ইসলাম, সৌদি আরব প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বশির, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আল-আমীন, সাংবাদিক শেখ লিয়াকত আহমেদ, সালাহ উদ্দিন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে তথ্য সচিব এবং বাসস'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এসপি'র এবং বাসসসের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর শেষে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলকে সৌদি প্রেস এজেন্সির সংবাদকক্ষ, আর্কাইভসহ বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরে দেখানো হয়। এ সময় বাংলাদেশ দূতাবাস ও সৌদি প্রেস এজেন্সির উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার