১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৫:০৫

শেখ হাসিনার ‘শান্তির সংস্কৃতির’ ২০ বছর পূর্তি উৎসব জাতিসংঘে

এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক থেকে:

শেখ হাসিনার ‘শান্তির সংস্কৃতির’ ২০ বছর পূর্তি উৎসব জাতিসংঘে

‘এজেন্ডা ২০৩০’ অর্জনের জন্য জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ ধারণাটি কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।  

জাতিসংঘ সদরদপ্তরের সাধারণ পরিষদ হলে শুক্রবার ‘শান্তির সংস্কৃতি’ ধারণাটির ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের ফোরামের সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে দেশ পর্যায়ের ভাষণ প্রদানকালে এ আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত মাসুদ। 

উচ্চ পর্যায়ের এই ইভেন্টটি আয়োজন করেন ৭৩তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি মারিয়া ফার্নান্দে এস্পিনোসা গার্সেজ।

রাষ্ট্রদূত মাসুদ উল্লেখ করেন, আজ থেকে ২০ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৯৯ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে ‘শান্তির সংস্কৃতি’র মতো আদর্শিক রেজুলেশনটি গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করে বাংলাদেশ, যা ছিল দেশের জন্য অত্যন্ত মর্যাদা। 

রাষ্ট্রদূত বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ ধারণাটি জাতিসংঘে উত্থাপন করেন এবং ঐ বছরই সাধারণ পরিষদ তা এজেন্ডা হিসেবে গ্রহণ করে এবং পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সর্বসম্মতিক্রমে চূড়ান্তভাবে এটি (রেজুলেশন ৫৩/২৪৩) গৃহীত হয়; ভাবতে ভালো লাগে আজ আমরা যখন এই রেজুলেশনটির ২০ বছর পূর্তি উদযাপন করছি, এমন সময়েও তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশকে শান্তি ও উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেওয়ার নেতৃত্ব দিচ্ছেন যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের”।

রাষ্ট্রদূত মাসুদ বলেন, “আমরা আনন্দিত যে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ আজ প্রণিধানযোগ্য একটি ধারণা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে এবং এর সুর জাতিসংঘের বৃহৎ পরিসরে অনুরণিত হচ্ছে। আর এটি লক্ষনীয় যে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এর আওতায় বেশ কয়েকটি নতুন রেজুলেশন গৃহীত হয়েছে”। “এজেন্ডা ২০৩০ এবং তৎপরবর্তী সময়ে আমরা আরও কীভাবে এই ধারণাটিকে কাজে লাগাতে পারি তা আমাদের ভেবে দেখতে হবে এবং এবিষয়ে সকলকে আরও এগিয়ে আসতে হবে যাতে কোনোভাবে শান্তির সংস্কৃতি ধারণাটি হারিয়ে না যায়”-উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত মাসুদ।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি মারিয়া ফার্নান্দে এস্পিনোসা গার্সেজ উচ্চ পর্যায়ের এই ইভেন্টে সভাপতিত্ব করেন এবং উদ্বোধনী ভাষণ দেন। 
এতে অব্যাহত শান্তির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী লেইমা জিবোয়ি এবং কি-নোট বক্তব্য প্রদান করেন ঘানার আসান্তি জনগোষ্ঠীর রাজা ওতুম্ফুও ওসেই টুটু-২। 

উচাঙ্গ যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন নিউইয়র্ক প্রবাসী খ্যাতনামা বাংলাদেশী সেতার বাদক ওস্তাদ মোরশেদ খান ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন তপন মোদক তবলা সঙ্গত করেন- যা সকলের প্রশংসা অর্জন করেন। 

প্লেনারি সেগমেন্টে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের সদস্য দেশসমূহের প্রতিনিধিগণ। বিকালে ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিলে এ উপলক্ষে একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানটির সমাপনী বক্তব্যও প্রদান করেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি।

‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশনটির ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে ১২ সেপ্টেম্বর ইন্টারন্যাশনাল পিস ইনস্টিটিউট (আইপিআই)-এ অনুষ্ঠিত হয় “টেকসই উন্নয়ন অর্জনের পথে: ‘শান্তির সংস্কৃতি’র ২০ বছর পূর্তি উদযাপন” শীর্ষক সাইড ইভেন্ট। সাধারণ পরিষদের সভাপতি মারিয়া ফার্নান্দে এস্পিনোসা গার্সেজ, আইপিআই এর সহ-সভাপতি ড. আমিম লিউপেল, জাতিসংঘের সাবেক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত আনোয়ারুল করিম চৌধুরী এবং বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন আলোচনায় অংশ নেন।


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর