গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় মালয়েশিয়ায় পালিত হয়েছে জেলহত্যা দিবস। দিবসটি উপলক্ষে রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানী কুয়ালালামপুরের হোটেল গ্র্যান্ড প্যাসিফিকের হলরুমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মালয়েশিয়া শাখা ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভার শুরুতেই জাতীয় চার নেতার রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ সময় বক্তারা জেলহত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত বাকি খুনিদের দেশে ফেরত এনে রায় কার্যকর করার জোর দাবি জানান।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মালয়েশিয়া শাখার আহ্বায়ক এম রেজাউল করিম রেজার সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দাতুক ফুয়াদ বিন তালেব।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মালয়েশিয়া শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী ও ইঞ্জিয়ার রাহাদুজ্জামান এর যৌথ পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন যুগ্ন-আহ্বায়ক রাসেদ বাদল।
বক্তারা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন আজ আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবে পরিণত হওয়া সময়ের ব্যাপারমাত্র।
সভার বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর মোহাম্মদ হেদায়েতুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আস্থাভাজন ছিলেন এই চার নেতা। তারা বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে বাংলাদেশকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়ে ৭১-এর মহান মুক্তি সংগ্রামে ভূমিকা রেখেছিলেন। বাঙালি জাতি আজ তাদের শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করছে।
সভাপতির বক্তব্যে এম রেজাউল করিম রেজা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর জাতীয় চার নেতাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্মমভাবে হত্যা ছিল বাঙালি জাতির জীবনে দ্বিতীয় কলঙ্কজনক অধ্যায়। এবং দুটোই একই সূত্রে গাঁথা। ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করা।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর সাবেক ছাত্রনেতা প্রকৌশলী আমিরুল ইসলাম খোকন, ফরিদপুর ফুলসুতি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন, মালয়েশিয়া যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক এ কামাল হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগ আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নূর মোহাম্মদ ভুইয়া, হুমায়ুন কবির আমির, হুমায়ুন কবির, প্রদীপ কুমার, শাখাওয়াত হোসেন, শাখাওয়াত হোসেন সুমন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা কাওসার হোসেনসহ অঙ্গ ও সকল সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব