১০ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০৫:৪৫

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাই কমিশনের সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন

মালয়েশিয়া প্রতিনিধি :

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাই কমিশনের সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃক ৪৮তম সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন হয়েছে। এ উপলক্ষে সোমবার মালয়েশিয়ার হোটেল রেনিসন এর বলরুমে প্রতিরক্ষা শাখা ও বাংলাদেশ হাইকমিশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়া আর্মড ফোর্সেস এর ডিএআইএসডি মহাপরিচালক লে. জে. দাতুক শেখ মোকসিন বিন শেখ হাসান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহ. শহীদুল ইসলাম, ডেপুটি হাইকমিশনার ওয়াহিদা আহমেদ ও বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, প্রতিরক্ষা এটাচে, মালয়েশিয়া সশস্ত্র বাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সুশীল সমাজ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির ব্যক্তিবর্গসহ প্রায় দুই শতাধিক অতিথি উপস্থিত ছিলেন।

কমান্ডার নাহিদ শারমিন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশের ও মালয়েশিয়ার জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়। এরপর মালয়েশিয়াতে নবনিযুক্ত প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা কমডোর মোস্তাক আহমেদ, (জি), এনপিপি, পিএসসি, সশস্ত্র বাহিনী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন। এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, জাতির পিতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে সমগ্র বাঙালি মুক্তিকামী মানুষ সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন, তাদের সাথে সশস্ত্র বাহিনীও যোগ দেন। 

পরবর্তীতে ২১ নভেম্বর ১৯৭১ সালে প্রথম বারের মত সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনী একযোগে দখলদার পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে সুসংগঠিত আক্রমণ রচনা করেন; যার ফলশ্রুতিতে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ পৃথিবীর মানচিত্রে একটি স্বাধীন দেশ হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে। প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ফোর্সেস গোল-২০৩০ অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের এক বলিষ্ঠ পদক্ষেপ।

প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মালয়েশিয়া সশস্ত্র বাহিনীর সাথে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সম্পর্ক উন্নয়নে মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তরিক সহযোগিতার প্রশংসা করেন এবং এ সম্পর্ক আরো সুগভীর করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। দেশের প্রতিটি অঙ্গনে এই উন্নয়নের জোয়ার বহমান। ভবিষ্যতেও  উন্নয়ের এ ধারা অব্যাহত থাকবে এবং বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে গর্বে মাথা তুলে দাঁড়াবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ এক  নৈশ ভোজে অংশগ্রহণ করেন। নৈজভোজ চলাকালীন ‘উদীয়মান বাংলাদেশ এবং সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন, সশস্ত্র বাহিনীর যৌথ অনুশীলন’ এবং সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০১৯ উপলক্ষে নির্মিত বিভিন্ন ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর