১৫ আগস্ট, ২০২০ ১৩:২৩

মালয়েশিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালন

মালয়েশিয়া প্রতিনিধি

মালয়েশিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালন

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৪৫তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২০ পালন করা হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারী এবং মালয়েশিয়া সরকারের সামাজিক দূরত্ব কর্মসূচির কারণে অনুষ্ঠানটি সীমিত পরিসরে সম্পন্ন করা হয়।

অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং অনেক প্রবাসী বাংলাদেশিও উপস্থিত ছিলেন। দিবসের শুরুতে রাষ্ট্রদূত মুহ. শহীদুল ইসলাম দূতাবাস প্রাঙ্গণে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মাধ্যমে দিবসটির কর্মসূচির সূচনা করেন।

এ সময়ে উপস্থিত সকলেই কালো ব্যাজ ধারণ করেন। এরপরে রাষ্ট্রদূত মুহ. শহীদুল ইসলাম উপস্থিত সকলকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার মাধ্যমে জাতির পিতার স্মৃতির উদ্দেশ্যে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাৎ বরণকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল সদস্যবৃন্দের আত্মার শান্তি কামনা ও দেশের সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয় এবং শাহাদাত বরণকারীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

পরে দূতাবাসের হলরুমে জাতীয় শোক দিবসের উপর উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ থেকে পাঠ ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে যথাক্রমে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।

এসময় দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশিগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। মুক্ত আলোচনায় বক্তাগণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তাঁর কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

হাইকমিশনার মুহ. শহীদুল ইসলাম এ দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, ১৫ আগস্ট বাঙ্গালি জাতির ইতিহাসে মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক ঘটনা এবং কলঙ্কময় দিন। জাতির পিতা সারাটা জীবন জেল, জুলুম ও অত্যাচার উপেক্ষা করে তাঁর অসাধারণ অসামান্য বীরোচিত নেতৃত্বগুণে বিশ্ব-দরবারে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন। 

যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে বিনির্মাণে তাঁর বুদ্ধিদীপ্ত সংগ্রাম-মুখর জীবনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে যাবতীয় প্রতিকূলতা স্বত্বেও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। বহির্বিশ্বে স্বাধীন বাংলাদেশকে নিরপেক্ষ, শান্তিকামী ও উন্নয়নমুখী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। 

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির পিতাকে হত্যা করার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের গতিধারা রুদ্ধ  হয় এবং স্বাধীনতার মূল চেতনার বিচ্যুতি ঘটে।

হাইকমিশনার বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ভিশন ২০২১, ভিশন ২০৪১ এবং ডেল্টা প্লান ২১০০ বাস্তবায়ন করছে। তিনি শোককে শক্তিতে পরিণত করে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকলকে দৃঢ়ভাবে আত্মনিয়োগ করবার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর