শিরোনাম
- জাফলংয়ে পানিতে ডুবে পর্যটক নিখোঁজ
- রেকর্ড জয়ে এশিয়া কাপ শুরু ভারতের
- আবারও ইয়েমেনে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, অনেকে হতাহত
- জেন-জি আন্দোলন : নেপালে নিহত বেড়ে ৩০
- রপ্তানিকারকদের শুল্কমুক্ত কাঁচামাল আমদানির সুযোগ দেবে এনবিআর
- যুক্তরাজ্যে সফররত ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ
- বিএনপির বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র হচ্ছে : মির্জা আব্বাস
- সাফারি পার্কে পেছন থেকে সিংহের আক্রমণ, পরিচর্যাকারী নিহত
- জাতিসংঘ পরিদর্শকদের পরমাণু স্থাপনায় প্রবেশ প্রত্যাখ্যান ইরানের
- অস্থিরতার সুযোগে নেপালে জেল থেকে পালিয়েছে ১৩৫৭২ বন্দি
- বিসিএস পরীক্ষার নিরাপত্তায় ১২০ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ
- অবৈধ অভিবাসন রোধে ইইউ’র সহযোগিতা চেয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- নেপালে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা নিরাপদে আছেন : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক বৃহস্পতিবার
- রুশ ড্রোনের অনুপ্রবেশ, ন্যাটোর অনুচ্ছেদ ৪ প্রয়োগের আহ্বান পোল্যান্ডের
- ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেয়ে উচ্ছ্বসিত তরুণরা
- সিরাজগঞ্জে জাল টাকাসহ কারবারি আটক
- বগুড়ায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ৭ দফা বাস্তবায়নে মতবিনিময়
- ৩৩ বছর পর বহুল প্রতীক্ষিত জাকসু নির্বাচন বৃহস্পতিবার
- চালু হলো নেপালের ত্রিভূবন বিমানবন্দর
ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে শোক দিবস পালন
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ভার্সন

পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে। শনিবার এ উপলক্ষে দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
হাইকমিশন প্রাঙ্গণে আয়োজিত কর্মসূচিতে প্রবাসী বাংলাদেশি, স্থানীয় ব্যক্তিবর্গসহ হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন। এসময় অনুষ্ঠানে যোগদানকারী সকলে কালো ব্যাজ পড়েন।
সকালে চান্সারি প্রাঙ্গণে হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ইসলামাবাদে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক আহসান।
বিকেলে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে চান্সারি প্রাঙ্গণে পবিত্র কোরআন খতম ও দোয়া করা হয়। স্থানীয় একটি মাদরাসার ১০ জন হাফেজ কোরআন খতমে অংশগ্রহণ করেন।
দিবসটি পালন উপলক্ষে সন্ধ্যায় এক আলোচনা ও স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন হাইকমিশনার ও হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এরপর বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং ইউনেস্কোর মহাপরিচালক কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান, জীবন ও কর্মের উল্লেখযোগ্য দিক তুলে ধরেন। তারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে গভীর শোক প্রকাশ করেন।
হাইকমিশনার তারিক আহসান তার বক্তব্যে শোকাবহ এই দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু ও তার সাথে সকল শাহাদাতবরণকারীর আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার মাধ্যমে ঘাতকেরা শুধু ব্যক্তি মুজিবকে হত্যা করেনি। তারা চেয়েছিল বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তথা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নিশ্চিহ্ন করতে। তাই সংবিধান থেকে সমতা, অসাম্প্রদায়িকতা আর বাঙালি জাতীয়তাবাদ সংক্রান্ত ধারাগুলো মুছে ফেলা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের কোনো বিচার করা যাবে না, এমন ধারা সন্নিবেশিত করে সংবিধানকে কলুষিত করা হয়। স্বাধীনতা বিরোধী দালালরা পুনর্বাসিত হয়ে দেশের নেতৃত্বস্থানে চলে আসে।
মুজিববর্ষে অনুষ্ঠিত এই জাতীয় শোক দিবসে তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাকে বাস্তবে রূপান্তরে প্রধানমন্ত্রীর বর্তমান উন্নয়ন প্রচেষ্টায় সবাইকে অবদান রাখার জন্য আহ্বান জানান।
আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে একটি কবিতা আবৃত্তি করা হয়। সবশেষে বঙ্গবন্ধুর জীবনিভিত্তিক একটি প্রামাণ্য ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর