মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার দূতাবাসে শোক দিবসটি পালন করা হয়।
এ সময় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, আলোচনা সভা, কোরআন খতম এবং বিশেষ দোয়া মাহফিল করা হয়।
মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরী সকালে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে দিনের কর্মসূচি সূচনা করেন। এরপর রাষ্ট্রদূত, দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ইয়াঙ্গুন প্রবাসী বাংলাদেশের নাগরিকরা জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু এবং ১৫ আগস্টে শাহাদাতবরণকারী সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত একটি বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র ‘অসমাপ্ত মহাকাব্য’ প্রদর্শন করা হয়। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
এরপর জাতির পিতার জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তাসহ সভায় উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিরা আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার হিসেবে বঙ্গবন্ধুর অবদান কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।
রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার ও স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন দিক এবং স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ও অসামান্য অবদানের ওপর আলোকপাত করেন। তিনি উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও আদর্শ বাঙালি জাতির চিরপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
বাংলাদেশের চলমান আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কয়েকটি দিক তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে তার প্রদর্শিত পথে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
জাতির পিতাসহ ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে নিহত সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে কোরআন খতম ও বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি সমাপ্ত করা হয়। এছাড়া দূতাবাসের পক্ষ হতে স্থানীয় দুটি এতিমখানায় শিশুদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই