স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে 'শোক হোক শক্তির উৎস' শীর্ষক সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবারের ওই অনলাইন সভায় সভাপতিত্ব করেন সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম. নজরুল ইসলাম।
সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান। তাকে সহযোগিতা করেন ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান ভূঁইয়া ও ইঞ্জিনিয়ার হেদায়েতউল ইসলাম শেলী। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এমপি, প্রখ্যাত সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও কলাম লেখক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী এবং তথ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
অনুষ্ঠানে ইউরোপের সব দেশের আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীর করির, এম এ কাশেম, মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজী, বসিরুল আলম চৌধুরী সাবু, এস আর আই রবিন, মাইনুল ইসলাম, মোস্তফা মজুমদার বাচ্চু, শাহাদাত হোসেন তপন, খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম, জহিরুল ইসলাম জসিম, মাসুম মিয়া, দিলওয়ার হোসেন কয়েস, মোস্তফা জামান, মুরাদ খান, রিজভী আলম, বেলাল হোসেন, বাবুল হাওলাদার, মাহবুবুর রহমান, শ্যামল খান, ইকবাল আহমেদ লিটন, সাইফুল ইসলাম কবির, মোস্তাফিজুর রহমান, বিদ্যুৎ কার্ল, শওকত ওসমান ও রাজিব দাস প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রখ্যাত সাহিত্যিক, সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর বলেন, 'বঙ্গবন্ধুকে আমরা কিভাবে দেখি, এটা একটা বড় প্রশ্ন, দলীয় নেতা নাকি জাতীয় নেতা? স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু ছিলেন দলীয় নেতা, ৭১ সালের আগে তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে তিনি জাতীয় নেতায় উন্নীত হন এবং দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে তিনি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে একটা ব্যাপার দেখা গেল বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণ করার পরে আমাদের জাতীয় ঐক্য ভেঙে যায়। ভাসানী ন্যাপ মুজিব সরকারের বিরোধিতা শুরু করে। কমিউনিস্ট পার্টি শুধু জাতীয় ঐক্যে যোগ দিয়ে সরকারকে সমর্থন করে। ছাত্রলীগের একটি অংশ ভেঙে গিয়ে জাসদ তৈরি করে, যারা ছিলো আরো ভয়ঙ্কর।' তিনি আরো বলেন, ৭১'র পরাজিত পক্ষের সাথে যোগ দিয়েছিলো জাসদ।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর হত্যা একটি প্রতিহিংসা, জিঘাংসা মূলক রুপ নিয়েছিলো। এর কারণ হলো, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব মেনে নিতে পারেনি তারাই তাদের প্রতিহিংসা মিটিয়েছেন। হত্যাকারীরা অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছিলো যে হত্যাকাণ্ডটি একটি পরিবার কেন্দ্রীক। মূলত বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে দেশে সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি প্রবর্তণ করা হয়।'
তথ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত নিরলস পরিশ্রম করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে কাজ করে যাচ্ছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সাড়ে তিন বছরের মাথায় হত্যা করা হয়েছিলো। কিন্তু বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছরেরই যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। আর ঠিক তখনই ঘাতকরা জাতির পিতাকে হত্যা করে। মূলত বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার উদ্দেশ্য ছিলো সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত দেশটিকে হত্যা করা, স্বাধীনতাকে হত্যা করা।'
বিডি-প্রতিদিন/শফিক