মালির ঘটনাবলি গভীর পর্যবেক্ষণে রাখার পাশাপাশি সেখানে মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ। মালির প্রেসিডেন্টসহ কয়েকজন মন্ত্রীকে বিদ্রোহীরা গত মঙ্গলবার গ্রেফতারের পর সেখানকার পরিস্থিতি চরমে উঠেছে। এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বুধবার বলেছেন, জাতিসংঘ সবধরনের অশান্তি ও অস্থিতিশীলতার বিরোধী। মালির সংবিধান বিপন্ন হয়ে পড়ার মতো পরিস্থিতি দেখতে চায় না জাতিসংঘ। আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহবানও জানিয়েছে জাতিসংঘ।
বুধবার অনুষ্ঠিত নিরাপত্তা পরিষদেরর রুদ্ধদ্বার বৈঠকেও মালির ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা প্রকাশ করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে মালিতে সাংবিধানিক প্রশাসন কাজ শুরু করবে বলে আশা করছে সিকিউরিটি কাউন্সিল। অর্থাৎ জাতিসংঘ মহাসচিব এবং নিরাপত্তা পরিষদের অভিন্ন ভাষায় মালির ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে।
এদিকে, অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা মালির বিদ্রোহী সেনারা ‘উপযুক্ত সময়ে’ একটি স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বুধবারই। উল্লেখ্য, গত জুলাই থেকে পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে চরম রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা চলছে। ওই সময় শুরু হওয়া সরকার বিরোধী বিক্ষোভের সুযোগে মঙ্গলবার দেশটির সেনাবাহিনীর একটি অংশ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বৌবাকর কেইতাকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করে।
বিদ্রোহী সেনারা মঙ্গলবার বিকালে মালির প্রেসিডেন্ট ভবনে হানা দেয় এবং অস্ত্রের মুখে কেইতা ও প্রধানমন্ত্রী বুবু সিসাসহ আরো কয়েকজনকে রাজধানী বামাকোর নিকটবর্তী একটি সামরিক শিবিরে ধরে নিয়ে যায়। তার কয়েক ঘণ্টা পর রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে কেইতা পদত্যাগের ঘোষণা দেন এবং সরকার ও সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করেন।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা