গণতান্ত্রিক বিশ্বের জাতীয় সংসদের স্পিকারগণের সাথে ২০ আগস্ট আন্তর্জাতিক এক ভার্চুয়াল সমাবেশে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ভবিষ্যতের জন্য উপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের স্বার্থেই চলমান বৈশ্বিক মহামারি থেকে লব্ধ অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে হবে।
মহাসচিব উল্লেখ করেছেন, করোনাভাইরাসের সর্বগ্রাসী তৎপরতায় বিপর্যস্ত মানবতা। স্থবির হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক সকল কর্মকাণ্ড। এমন পরিস্থিতি থেকেই শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ এসেছে ভবিষ্যতকে সুসংহত রাখতে।
মহাসচিব বলেন, ভাইরাস সংক্রমিত হবার আগেই সমাজ ব্যবস্থায় বিদ্যমান বৈষম্য চরমে উঠেছিল, যা গোটা ব্যবস্থাকে বিপন্ন করেছিল। সুশীল সমাজের কথা বলার পরিবেশও বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। সামাজিক অস্থিরতায় নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকারকে বিপন্ন করেছিল। চিকিৎসা ক্ষেত্রেও বৈষম্য নিদারুন আকার ধারন করেছিল। এর ফলে বহুদেশের শাসন ব্যবস্থা অস্থিরতায় আক্রান্ত হয়। সে অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে চাই, তেমন পরিবেশে আর ফিরতে চাই না। ভয়ংকর এ অদৃশ্য শক্তির যাতাকল থেকে রক্ষা পাবার পর সকলকে উদারচিত্তে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। সমঅধিকার নিশ্চিতের মধ্য দিয়ে সুন্দরভাবে বসবাসের বিশ্ব রচনায় একযোগে কাজ করতে হবে।
মহাসচিব বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের যে ধারা শুরু হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট সংকট উত্তরণে সকলকে অধিক মনোযোগী হতে হবে। এ নিয়ে কালক্ষেপণের অর্থ হবে নিশ্চিত আরেকটি বিপদকে আমন্ত্রণ জানানো।
উল্লেখ্য, করোনার কারণে সিওপি২৬ কনফারেন্স পিছিয়ে নেয়া হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে করণীয় নিয়ে আন্তর্জাতিক এ সম্মেলন পিছিয়ে গেছে বলে আমাদেরকে চুপ করে বসে থাকলে চলবে না। নিজ নিজ দেশের পরিস্থিতির সাথে মিলিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সবকিছু করতে হবে টেকসই উন্নয়নের পরিপূরকভাবে। ভুলে গেলে চলবে না যে, এক্ষেত্রে রয়েছে আমাদের নীতিগত অবস্থান, প্রযুক্তি এবং কীভাবে কখন কী করতে হবে-সে ধারণাও।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন