জেলহত্যা দিবস ও জাতীয় ৪ নেতা স্মরণে সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৩ নভেম্বর বিকেল ৫টার দিকে ‘জেলহত্যা দিবস ও মৃত্যুঞ্জয়ী চার জাতীয় নেতা’ শীর্ষক এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম নজরুল ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান। সঞ্চালনায় সহযোগিতা করেন সুইডেন আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার হেদায়েতউল ইসলাম শেলী।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর অন্যতম সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু (এমপি), বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের অন্যতম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েত ইসলাম। জাতীয় নেতা তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা সিমিন হোসেন রিমি, এমপি।
সভায় অতিথিবৃন্দ ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ কাশেম ও সাধারণ সম্পাদক দিলওয়ার হোসেন কয়েছ, সুইডেন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর করির ও সাধারণ সম্পাদক ডা. ফারহাদ আলী খান, ইতালি আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল, জার্মান আওয়ামী লীগ নেতা বসিরুল আলম চৌধুরী সাবু, আব্বাস আলী চৌধুরী ও মাসুম মিয়া, স্পেন আওয়ামী লীগের সভাপতি এস আর আই রবিন ও সাধারণ সম্পাদক রিজভী আলম, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম কবির, নেদারল্যান্ডস আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা জামান ও মুরাদ খান, আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক বেলাল হোসেন ও সদস্য সচিব ইকবাল আহমেদ লিটন, গ্রীস আওয়ামী লীগের সভাপতি মান্নান মাতব্বর ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল হাওলাদার, পর্তুগাল আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম জসিম, সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খান, বেলজিয়াম আওয়ামী লীগ নেতা খোকন শরীফ, ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম, মালটা আওয়ামী লীগের সভাপতি মশিয়ার রহমান, নরওয়ে আওয়ামী লীগের সহ-সভপতি মোস্তাফিজুর রহমান, ইতালি বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কমরেড খোন্দকার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আমির হোসেন আমু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয় এটা কোনো ব্যক্তিগত হত্যাকাণ্ড নয়, বাঙালিদের নেতৃত্বশূন্য করে স্বাধীন বাংলাদেশকে আবার নব্য পাকিস্তানে রূপান্তর করাই ছিল স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতক চক্রের মূল লক্ষ্য।’
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ৩ নভেম্বরের রাত একটি কলঙ্কিত রাত। আমরা যারা সেদিন জেলখানায় ছিলাম এই রাত তাদের ভোলার নয়। আমরা জানি জেলখানা একটা নিরাপদ স্থান আর সেই জায়গায় বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে যারা মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছিল, সেই জাতীয় বীরদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। জাতীয় চার নেতা আসলেই জাতীয় বীর।
নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সহপরিবারে হত্যা ৩ নভেম্বর জেলখানায় জাতীয় চার নেতা হত্যার মূল নায়কদের অন্যতম জেনারেল জিয়াউর রহমান। সে বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় কলঙ্ক।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘১৫ আগস্ট সেদিন জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির ভাগ্যে যে অমানিশার অন্ধকার নেমে এসেছিল, তা আরো ঘনিভূত করতে ৩ নভেম্বর সভ্যতার ইতিহাসে অন্যতম কলঙ্কজনক এই পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।’
অনুষ্ঠানটির কারিগরি সহযোগিতায় ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)।
বিডি প্রতিদিন/এমআই