৭ মে, ২০২১ ১১:০৪

ভ্যাকসিনের জন্যে হোয়াইট হাউজ-স্টেট ডিপার্টমেন্ট-কংগ্রেসে প্রবাসীদের লবিং

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

ভ্যাকসিনের জন্যে হোয়াইট হাউজ-স্টেট ডিপার্টমেন্ট-কংগ্রেসে প্রবাসীদের লবিং

বাংলাদেশে প্রথম ডোজ গ্রহণকারিদেরকে দ্বিতীয় ডোজ প্রদানের স্বার্থে অক্সর্ফোড-অ্যাস্ট্রাজনেকোর ২০ মিলিয়ন ডোজ প্রদানের অনুরোধ জানানো হয়েছে হোয়াইট হাউজ, স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং মার্কিন কংগ্রেসে। 

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে ৬ মে শুরু হয়েছে এ অনুরোধ। ফোন, ইমেল এবং সরাসরি সাক্ষাতে চলছে অনুরোধের পরিক্রমা। ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম ইতিমধ্যেই হোয়াইট হাউজ এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টের পদস্থ কর্মকর্তাগণের সাথে সাক্ষাত করেছেন এ অনুরোধ জানাতে। ডেমক্র্যাটিক পার্টির শীর্ষ পর্যায়ের সংগঠক এবং বাইডেন প্রশাসনের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখা ড. নীনা আহমেদও বিভিন্ন জনের কাছে এ অনুরোধ রেখেছেন। শহীদ সন্তান এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, আমেরিকা-বাংলাদেশ এলায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখার প্রেসিডেন্ট ড. খন্দকার মনসুর, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের মিয়া, বাংলাদেশ প্রতিদিন উত্তর আমেরিকা সংস্করণের নির্বাহী সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার সহ বেশ কয়েকজন প্রবাসীও নিজ নিজ এলাকার সিনেটর-কংগ্রেসম্যান ছাড়াও স্টেট ডিপার্টমেন্টে অনুরোধ পাঠিয়েছেন ই-মেলে। 

সকলেই উল্লেখ করেছেন, বিনামূল্যে সম্ভব না হলে নগদ অর্থে ক্রয় করতে আগ্রহী বাংলাদেশ। কারণ, এই টিকা ছাড়া প্রথম ডোজ গ্রহণকারিরা কোন ফায়দা পাবেন না। আর এমন শংকা তৈরী হয়েছে ভারতে করোনার প্রকোপ চরম আকার ধারণ করায়। তা না হলে ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে ক্রেনা ডোজই যথাসময়ে বাংলাদেশ পেত। 

সকলেই বাইডেন প্রশাসনে জানিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ৬০ মিলিয়ন ডোজ ক্রয় করেছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন। সেগুলোর দরকার নেই বলে বিশেষভাবে প্রয়োজন রয়েছে এমন দেশকে তা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। মানবিকতার স্বার্থে ইতিমধ্যেই ভারতকে ১০ মিলিয়ন ডোজ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশকেও অন্তত: ২০ মিলিয়ন ডোজ প্রদান করা হলে বিরাট একটি জনগোষ্ঠি ভয়ংকর একটি পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পাবে। 

ঢাকা থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেন ফোনে প্রবাসের বিশিষ্টজনদের অনুরোধ জানিয়েছেন কংগ্রেস ও হোয়াইট হাউজে এই আবেদনের জন্যে। ভারতীয়রা যেভাবে অনুরোধ জানিয়েছে, একইভাবে প্রবাসী বাংলাদেশীরা করলে নিশ্চয়ই বাইডেন প্রশাসন সহানুভূতির সাথে বিষয়টি বিবেচনায় নেবে বলে প্রত্যাশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।

এই দেনদরবার প্রসঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার উপদেষ্টা ড. নীনা আহমেদ এ সংবাদদাতাকে বলেছেন, ‘ভারতীয়রা ভোটের ময়দানেও সোচ্চার। নিজেদের প্রার্থীকে জয়ের ক্ষেত্রেও এগিয়ে থাকেন সবসময়। বাংলাদেশিদেরকেও ভোটের ময়দানে এবং ব্যালট যুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে। তাহলেই গুরুত্ব বাড়বে প্রশাসনের সর্বস্তরে।’

ড. নীনা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, ‘আমি আশাবাদি। ভ্যাকসিনের ব্যাপারে বাংলাদেশ ইতিবাচক সাড়া পাবে।’ এ ব্যাপারে সকল প্রবাসীকে সরব হবার অনুরোধ জানিয়েছেন ড. নীনা। 

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর