বাংলাদেশ দূতাবাস কুয়েতে যথাযোগ্য মর্যাদায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে জ্যেষ্ঠ পুত্র শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কর্ণারে রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মো. আশিকুজ্জামান, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, জি-এর সভাপতিত্বে ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলামের পরিচালনায় এ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, কুয়েতে বাংলাদেশ কমিউনিটির নানা শ্রেণিপেশার প্রবাসীরাসহ গণমাধ্যমের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহন করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করা হয়। এসময় ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সকল শহীদদের এবং ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার আত্মার মাগফেরাত এবং বাংলাদেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয় ।
অনুষ্ঠানে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জীবনীর উপর নির্মিত প্রামান্য ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এছাড়াও শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠ করেন দূতাবাসের প্রথম সচিব (পাসপোর্ট ও ভিসা) মো. ইকবাল আখতার ও প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান নিয়াজ মোর্শেদ।
আলোচনা পর্বে কুয়েতে বাংলাদেশ কমিউনিটির নানা শ্রেণিপেশার প্রবাসীরা অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা এসময় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে, ক্রীড়াঙ্গনে এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের অবদানসহ তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন ।
রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মো. আশিকুজ্জামান , এনডিসি , এএফডব্লিউসি , পিএসসি , জি তার বক্তব্যের শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সকল শহীদদের এবং ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধা , যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। এসময় তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ছাত্রসমাজকে সংগঠিত করেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি জেনারেল মুহম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে খেলোয়াড় এবং ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের ক্রীড়া ও সংস্কৃতির উন্নয়নের এবং বিকাশে যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন তা বাংলাদেশের জনগণের কাছে বিশেষত যুব সমাজের কাছে অফুরন্ত অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত