করোনাকালেও পিপল এন টেকের ৬২৮ শিক্ষার্থী চাকরি পেয়েছেন মার্কিন আইটি সেক্টরে। এসব চাকরিপ্রাপ্তদের মধ্যে ১৪৩ জনই হাই স্কুল গ্র্যাজুয়েশনকারি এবং প্রায় সকলেই বাংলাদেশি অভিবাসী। করোনায় লকডাউনে থাকাকালে তারা সকলেই অনলাইনে কোর্স নেন পিপল এন টেকের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে।
পিপল এন টেকের সূত্র জানায়, গত বছরের মধ্য মার্চে লকডাউনে যাবার পর থেকে এ বছরের জুলাই পর্যন্ত মোট ১৬ মাসে অনলাইনে ক্লাস দেয়ার পর সেলেনিয়াম অটোমেশন টেস্টিং সেক্টরেই ৫২৯ জনের চাকরি হয়েছে। এছাড়া, আরও ৭৯ জনের চাকরি হয় ডেভ ওপস এবং এডব্লিউএস কোর্স নিয়ে।
১০ আগস্ট পিপল এন টেকের সিইও ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ কথা বলেন আমাজনের নিয়োগ টিমের প্রধান মোহাম্মদ মাহদিউজ্জামানের সাথে। আমাজনের বিশাল কর্মসেক্টরের চাহিদা পূরণে পিপল এন টেক তার কোর্স-কৌশল ঢেলে সাজানোর সংকল্প ব্যক্ত করে। অর্থাৎ পিপল এন টেকের প্রতি প্রবাসী বাংলাদেশিদেরই আস্থার ভিত মজবুত করা নয়, অভিবাসী সমাজের উদ্যমী মানুষদেরও মার্কিন স্বপ্ন পূরণের ক্ষেত্র প্রসারের বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
ভার্জিনিয়া ভিত্তিক এই পিপল এন টেক ইন্সটিটিউটের বর্তমানে ৪টি ক্যাম্পাস রয়েছে। করোনার আগে ২০০৫ সাল থেকে ১৫ বছরে কমপক্ষে ৭ হাজার অভিবাসীকে মার্কিন আইটি সেক্টরে চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছে এই সংস্থা। এর মধ্য দিয়ে শুধু প্রবাসীরা উপকৃত হচ্ছেন না, একইসাথে নিজ নিজ দেশে স্বজনকেও তারা অর্থ সহায়তা দিতে পারছেন স্বাচ্ছন্দ্যে।
এ প্রসঙ্গে ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম মেনে আমরা সবকিছু করছি। এজন্যে মার্কিন আইটি সেক্টরেই শুধু নয়, ফেডারেল প্রশাসনেও পিপল এন টেকের খ্যাতি বাড়ছে। এ প্রতিষ্ঠান থেকে কোর্স করাদের কর্মস্থল থেকে ঝরে পড়ার কোনো ঘটনা নেই বললেই চলে। অভিবাসী হয়ে আসা বহু নারী রেস্টুরেন্ট অথবা গ্রোসারি কিংবা খুচরা স্টোরে অথবা স্বর্ণের দোকানে নামমাত্র মজুরিতে কাজ করতে বাধ্য হয়েছেন। তেমন নারীর অনেকে এসেছেন কোর্স নিতে, আমরা তাদেরকে অর্ধেক ছাড়ে, কখনো ফুল স্কলারশিপে কোর্স দিয়েছি। তারা এখন লাখ ডলারের কাছাকাছি আয় করছেন আইটি সেক্টরে যোগদান করে।
আবুবকর হানিপ সম্প্রতি ভার্জিনিয়ায় প্রতিষ্ঠিত ‘আই গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি’র মালিকানাও ক্রয় করেছেন। সেটির চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। উল্লেখ্য, মার্কিন মুল্লুকে ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপই প্রথম বাংলাদেশি, যিনি ইউনিভার্সিটির মালিক ও চ্যান্সেলর হয়েছেন। সেই ইউনিভার্সিটিতেও উচ্চ শিক্ষা গ্রহণকারিদেরকে আইটি কোর্স দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে তারা গ্র্যাজুয়েশনের পরই চাকরিতে প্রবেশে অধিকতর যোগ্য হতে পারেন। এসব বিষয়ে আমাজনের নিয়োগ কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করেছেন পিপল এন টেকের প্রতিষ্ঠাতা।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা