উজবেকিস্তানের তাসখন্দে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে দূতাবাসের সামনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্য দিয়ে শোক দিবস পালনের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলম। পরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পাঠ করেন। পরে রাষ্ট্রদূতের সহধর্মিণী মিস উম্মুল ফাতেমা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ইউসুফ নিজামী পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন। এরপর বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
ওয়েবিনার রাষ্ট্রদূতের সোশ্যাল সেক্রেটারি শাখ লোগাফুরভারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ তফাজ্জেল হোসেন মিয়া।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উজবেকিস্থানে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত মানীষ প্রভাত, উজবেকিস্থানের প্রাক্তন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী তুরসুনালী কুজিয়েভ, ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, বুয়েটের উপাচার্য প্রফেসর সত্য প্রসাদ মজুমদার, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের অধ্যাপক ড. মো. মামুন হাবিব, কিরগিজস্তান থেকে বাংলাদেশের অনারারি কনসালতে মিরবেক এরকিনভ, তাজিকিস্তান থেকে সাংবাদিক মিস আনাহিতা সাইমিদিনোভা, বাংলাদেশ আই.এম.এল.আই পুরস্কার বিজয়ী গুলাম ইসমাইলভ, উজবেকিস্থানের ওরিয়েন্টাল স্টাডিজ ইউনিভার্সিটির শিক্ষক মিজসাইয়রা রাখিমভা ও বাংলাদেশ কমিউনিটি নেতা মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার গোলাম নবী।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, বাঙালি কমিউনিটির সদস্য, দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরিশেষে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহীদ সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এক বিশেষ মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল