জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে প্যারিসস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। শোক দিবসের এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ডা. দীপু মনি বলেন, এ পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড শুধু যে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে চেয়েছিল তা নয়, তারা বঙ্গবন্ধুর বংশধর ও নিকটাত্মীয়দেরও নির্মূল করতে চেয়েছিল। এ হত্যাকাণ্ডের পরবর্তীকালে এ হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপট তৈরি, এ হত্যাকাণ্ডের পক্ষে সামাজিক গ্রহণ যোগ্যতা অর্জনের লক্ষ্যে নানা ধরণের অপপ্রচার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন। বাংলার মানুষকে কীভাবে তাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়া যায় তাই ছিল বঙ্গবন্ধুর প্রধান লক্ষ্য।
দূতাবাসের এ আয়োজনে বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে এ বছরের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে, ‘শোক থেকে শক্তি, শোক থেকে জাগরণ’। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সরদার ফজলুল করিমকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘ঘাতকের বুলেটের আওয়াজ থেকে জন্ম নিয়েছিল লক্ষ মুজিব যা ঘাতকেরা অনুধাবন করতে পারেনি।’ বাংলাদেশের বর্তমান উন্নয়নের যে অগ্রযাত্রা তা বঙ্গবন্ধুকে হারানোর শোক থেকে শক্তিতে রূপান্তর এবং সে কারণেই জাগরণের অগ্রযাত্রা।
শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আলোচনা পর্বে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী অতিথিবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর জীবন ও দর্শনের উপর আলোচনা করেন। আলোচকবৃন্দ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সংঘটিত ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাকাণ্ডে বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের আঠারো জন শাহাদাত বরণকারী সদস্যের রূহের মাগফেরাত কামনা এবং গভীর শোক প্রকাশ করেন।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর