শিরোনাম
২৮ অক্টোবর, ২০২১ ১২:২৪

তুরস্কের ইজমিরে বাংলাদেশের চায়ের প্রদর্শনী সম্পন্ন

অনলাইন ডেস্ক

তুরস্কের ইজমিরে বাংলাদেশের চায়ের প্রদর্শনী সম্পন্ন

আঙ্কারাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও ইজমিরের জন্য মনোনীত অনারারি কন্সালের সহযোগিতায় ইজমিরের কোসাদাসি জেলায় অবস্থিত কোরুমার হোটেলে বুধবার বিকেলে বাংলাদেশের চা প্রদর্শনী মেলা সম্পন্ন হয়েছে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের জন্য এজিয়ান সাগরের পাশে বিশেষভাবে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ও তুরস্কের জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়।

ইজমিরের জন্য মনোনীত বাংলাদেশের অনারারি কন্সাল কর্তৃক আমন্ত্রিত অতিথিদের উদ্দেশ্যে প্রথমে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন অনুষ্ঠানের আয়োজক জান চাকমাকোগলু। অতপর তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মস্য়ূদ মান্নান এনডিসি বাংলাদেশি চায়ের গুণাগুণ তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করে।

রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের পরপরই ইজমিরের কুসাদাসি জেলা গভর্নর সাদেটিন ইউসেল বক্তব্য প্রদান করেন এবং বাংলাদেশের সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে তুরস্কের বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন যারা অবকাঠামো নির্মাণ ও আমদানি-রফতানির সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্যবসায় নিয়োজিত রয়েছেন। অতঃপর বিউটিফুল বাংলাদেশ শীর্ষক ও কাজী অ্যান্ড কাজী লিমিটেডের চায়ের প্রস্তুুত প্রণালীর ওপর নির্মিত দুইটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে এবং উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেন। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান, কৌশলগত গুরুত্ব, সাম্প্রতিক আর্থ-সামাজিক অর্জন নিয়েও আলোচনা করেন। তিনি বাংলাদেশ ও তুরস্কের মাঝে বিদ্যমান উষ্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান। এছাড়াও তিনি দুদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনায় বাংলাদেশি চায়ের রফতানির গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করেন।

আশা করা যায়, এই সেমিনার বাংলাদেশের দ্রুতবর্ধনশীল চায়ের বাজার ও অর্থনীতির বিষয়ে তুরস্কের বেসরকারি খাতের মনোযোগ আকর্ষণে সহায়ক হবে।

উল্লেখ্য, দূতাবাসের উদ্যোগে সামনের দিনগুলোতে তুরস্কের বিভিন্ন শহরে খাদ্য উৎসব ও চায়ের বাণিজ্য প্রসারের জন্য আরও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে, যা দু’দেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিকাশে সহায়তা করবে বলে আশা করা যায়।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর