রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সিংহাসনে আরোহণের ৭০ বছর পূর্তি উদযাপনের বিশেষ আয়োজনে এবার ১৯ জন বাংলাদেশি রানির বিভিন্ন খেতাব পেয়েছেন। এর মধ্যে এই প্রথম একটি বাংলাদেশি নাটকের দল ‘পূর্বানাট’ পেয়েছে রানির সম্মাননা ‘দ্যা কুইনস এওয়ার্ড ফর ভলান্টিয়ার সার্ভিস’।
পূর্বানাটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নাট্যকার মুরাদ খান বলেন, পূর্বানাট মূলত মাইনরিটি বা সংখ্যালঘু গ্রুপকে আর্টসের মাধ্যমে কমিউনিটির উন্নয়নে কাজ করছে। কমিউনিটির বিভিন্ন সমস্যা, সম্ভাবনা, গর্ব করার মতো বিষয়গুলো আর্টসের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আগে থেকে বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করলেও পূর্বানাটের আনুষ্ঠানিক যাত্রা ২০১৪ সালে। এই প্লাটফর্ম মূলত অভিবাসী শিল্পীদের সমন্বয়ে গঠিত। এতে মূলধারার শিল্পীরাও যুক্ত আছেন। শুরুতে আমাদের কাজ ছিল শুধু থিয়েটার। কিন্তু পরবর্তীতে আমরা কমিউনিটির চাহিদা অনুযায়ী আমাদের কার্যক্রম বিস্তৃত করেছি।
পূর্বানাট আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বাংলাদেশের নানা গ্রামীণ সংস্কৃতি তুলে এনেছে ব্রিটিশ মূলধারায়। ভিন্নভাষাভাষীর মানুষের জন্য সংস্কৃতির মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনের কাজ করছে পূর্বানাট।
পূর্বানাটে এখন অনেক স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসীদের অবদান নিয়ে তৈরি হচ্ছে সেক্টর ১২ নামের একটি থিয়েটার। একইসঙ্গে ব্রিটিশ হ্যারিটেজের অর্থায়নে মিডল্যান্ড এলাকার প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা সংগঠকদের অডিও রেকর্ড করে আর্কাইভ করা হচ্ছে। স্বাধীনতার ৫০ উপলক্ষে একটা বড় বইয়ের কাজ হচ্ছে, যেখানে মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রিটেনে যে কাজ হয়েছে তা থাকবে। এটা ভবিষ্যতে গবেষণার কাজে ভালো রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
মুরাদ খান বলেন, রানির সম্মাননা আমাদের জন্য বিশেষ উপহার। এই সম্মাননার মধ্য দিয়ে আমাদের কাজের মূল্যায়ন হলো, আমাদের কার্যক্রম সঠিক পথে আছে সেটা এই স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে প্রমাণিত। আমরা অত্যন্ত খুশি এই সম্মাননা প্রাপ্তিতে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন