জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে ভিয়েনায় এক শোক সভার আয়োজন করা হয়। অষ্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার পেটার জরডানটাসে ৫০ এ অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনের নিজস্ব ভবনের আঙ্গিনায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত রাহাত বিন জামান। সঞ্চালনা করেন, কাউন্সেলর ও দৃতালয় প্রধান তানভীর আহমেদ তরফদার।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ এবং ‘৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্র্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি। তিনি ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সর্বইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি অস্ট্রিয়া প্রবাসী লেখক, মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিক এম. নজরুল ইসলাম, সর্ব ইউরোপিয়ান মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বায়জীদ মীর, অষ্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম কবির, সহ-সভাপতি আবদুল জলিল, রুহী দাস সাহা, এমরান হোসেন, মিজানুর রহমান শ্যামল, সাইফুল ইসলাম জসিম, মনোয়ার পারভেজ, দপ্তর সম্পাদক ইরুল কয়েস, আইন বিষয়ক সম্পাদক মাহাবুব খান শামীম, এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, জান্নাতুল ফরহাদ, রানা বখতিয়ার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এম এ মান্নান এমপি বলেন, 'জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সাড়ে তিন বছরের মাথায় হত্যা করা হয়েছিলো। কিন্তু বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছরেরই যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। আর ঠিক তখনই ঘাতকরা জাতির পিতাকে হত্যা করে। মূলত বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার উদ্দেশ্য ছিলো সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত দেশটিকে হত্যা করা, স্বাধীনতাকে হত্যা করা।'
অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত রাহাত বিন জামান বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজ তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।'
এম নজরুল ইসলাম বলেন, ''সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ঘটনা শুধু ব্যক্তি মুজিবকে হত্যার প্রয়াস ছিল না, ছিল জাতির স্বাধীনতার শক্তিকে হত্যার অপচেষ্টা।'
পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করেন, দূতাবাসের সহকারী কনস্যুলার অফিসার জুবায়দুল হক চৌধুরী।
অনুষ্ঠানের শেষে ৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ নিহত সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মেহেদী হাসান। আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ