বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবং কুমিল্লা-৩ আসন থেকে পাঁচবার নির্বাচিত সাকে এমপি কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ বলেছেন, “মিথ্যা মামলা দিয়ে দীর্ঘ ১৩ বছর আমাকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে মা অসুস্থ হয়ে ইন্তেকাল করেছেন। শেষবারের মত তার মুখটি দেখারও সুযোগ পাইনি। এছাড়া, পরিবারের সাথেও সাক্ষাতের সুযোগ ছিল না- এমনই একটি বিভিষিকাময় পরিস্থিতি থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে দেশের ছাত্র-জনতার সাথে আমেরিকা প্রবাসীরাও অপরিসীম ভূমিকা পালন করেছেন। এজন্য আমি তাদেরকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।”
নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি মাওলানা অলিউল্লাহ আতিকুর রহমান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জসিম উদ্দিন (ভিপি) এবং সেক্রেটারি সাঈদুর রহমান সাঈদের নেতৃত্বে বিএনপির প্রবাসী নেতৃবৃন্দ শনিবার কুমিল্লার মুরাদনগরে কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের সঙ্গে সাক্ষাত করতে গেলে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা প্রচণ্ড ক্ষোভের সাথে আরও বলেন, স্বৈরাচার হাসিনা ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের উপযুক্ত শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমার মতো বিএনপির লাখো নেতাকর্মীর মনঃকষ্ট দূর হবে না।
কাজী শাহ কায়কোবাদ আরও বলেন, গণতন্ত্রের দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের সুফল পেতে হলে শিগগিরই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার গঠনের বিকল্প নেই। সে আশায় প্রহর গুনছে গোটা জাতি।
তিনি বলেন, দলের প্রয়োজনে এবং দেশের বৃহত্তর স্বার্থে আমাকে যদি এর চেয়েও বেশি ত্যাগ করতে হয়। তবুও দ্বিধা করব না।
প্রবাস বিএনপির এই প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন স্টেট বিএনপির নেতা হুমায়ূন কবির, আহসান চৌধুরী হানিফ, করিম চেয়ারম্যান, শাহীন প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/একেএ