৩০ এপ্রিল, ২০২১ ১৮:১৬

সন্ধ্যামালতি বইয়ের পাঠক প্রতিক্রিয়া

অনলাইন ডেস্ক

সন্ধ্যামালতি বইয়ের পাঠক প্রতিক্রিয়া

সন্ধ্যামালতি বই পড়ে মুগ্ধ হয়ে ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাবেক শিক্ষার্থী ও সাংস্কৃতিক কর্মী আল ইমরান।তিনি তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, ‘একটা বই তখনই সার্থক হয়ে ওঠে যখন সে লেখার সাথে পাঠক একাত্ম হতে পারে। সন্ধ্যামালতি ঠিক তেমনই একটি বই। এগারটি ছোট গল্পে সাজানো এই বই। বইটির আরেকটি বিষয় আমাকে মুগ্ধ করেছে তা হলো বইটি ভীষণ সুখপাঠ্য। 

প্রতিটি চরিত্রই যেন আমি বা আমার আশপাশের কেউ। আমাদের সমাজেরই কোনো না কোনো চরিত্র। 

‘গল্পের পেছনের গল্প’ এই শিরোনামের গল্পটা পড়ে ভেতরে ভেতরে প্রচণ্ডরকম একটা ধাক্কা খেয়েছি। আমরা আসলে তাই দেখি, তাই জানি, তাই বিশ্বাস করি, যা আমাদের দেখানো হয়, জানানো হয়, কিংবা বলা হয়। অথচ সত্যটা যে আরও কত গভীর, কতটা গূঢ়-রূঢ় সেটা আমরা খুব নেহাতই জানতে পারি। 

‘বাবার ডায়েরি’ গল্পটি মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে লিখা। গল্পের শেষ দুই লাইন একটু বলি, ‘এমন সহজ-সরল মানুষের করুণ মৃত্যুর কাহিনি নিজ  হাতে লিখতে পারিনি। তাই এই ডায়েরিটি আজও অসমাপ্ত।’ অনেক সময়ই সামাপ্তি মানেই পূর্ণতা নয়, কিছু কিছু অসমাপ্ত ঘটনাই অনেক বেশি অর্থবহ। আমাদের জীবনেও এমন অনেক ঘটনা আছে, যাকে আমরা অসমাপ্ত রাখতে চাই, বা সেরকম করে ভাবতে চাই... এই গল্পটি পড়ে সেই অনুভূতিই হয়েছে। 

‘শেষ আলিঙ্গন’ এই গল্পটিও অসাধারণ। শেষ আলিঙ্গন পড়তে গিয়ে বারবারই রানা প্লাজা ট্রাজেডির একটি ছবির কথা মনে পড়েছিল.. ‘A Final Embrace’ তখন পেপারে বা টিভিতে ছবিটা দেখে অনেকদিন ঘোরের মধ্যে ছিলাম। অনেকদিন পর আবার সেই অনুভূতিটা পেলাম।

‘শাড়ি’ এ গল্পটিও ভীষণ ভালো লেগেছে। যে কারও বোধের দরজায় কড়া নাড়বে এ গল্প। গল্পটির শেষে এমন একটা বার্তা পাবেন - যে মানুষের তার দেশের প্রতি, তার সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা নেই সে কখনোই কাউকে ভালোবাসতে পারে না। এ কথাটি আমি সবসময়ই বলি।

বইয়ের ১১টি গল্প সবগুলোই সুন্দর, সবগুলো চরিত্রই জীবন্ত, আমাদের সমাজের মুখচ্ছবি যেন। একজন লেখকের এই গুণটি আমাকে ভীষণভাবে চমকিত করে, সহজ ও সাবলীল ভাষায় সুন্দর বর্ণনা। আর লেখক সাদিকুল ইসলাম নিয়োগী পন্নী ভাইয়ার লেখার এ দিকটি আমার বরাবরই পছন্দ। আপনার জন্য সবসময়ই শুভকামনা ভাইয়া। ভবিষ্যতে আরও বহুমাত্রিক বই চাই।’

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

  

সর্বশেষ খবর