ব্যাচেলরদের মেসে বুয়ারা প্রায়ই তরকারিতে লবণ বেশি দিয়ে থাকেন। কেউ কেউ সেই লবণ তরকারি খেয়ে হজমের চেষ্টা করেন। অনেকে আবার সেগুলো না খেয়ে ফেলে দিতে বাধ্য হন। এ বিষয়টা নিয়ে একটা হাতি সাইজের নালিশ বিদেশে গিয়ে করে আসা যায়।
অনেকের প্রেমিকা ভাগ্য আমার মতো। কল দিলে ওয়েটিং। কল ঢুকলে কেটে দেয়। কল রিসিভ করলে বলে, বাবু, বিজি, পরে। এই অভাগা প্রেমিকদের হৃদয়ে মোবাইল ফোনে নেটওয়ার্কের শেষ টাওয়ারের মতো অবস্থা। প্রেমিকা আসে, যায়... এই আছে, এই নাই। সারাক্ষণ টেনশন। প্রেমিকাদের এই হৃদয়হীন আচরণের জন্য বিদেশ গিয়ে বড়সড় কাঁঠাল সাইজের একটা নালিশ করা যেতেই পারে।
প্রেমিকারাও কি সুখে আছে? আজকাল ছেলেগুলো ভালোবাসা বোঝে না। মন দিয়ে ভালোবাসার পর ছেলেরা মন নিয়ে দৌড় দেয়। সারাক্ষণ অন্য সুন্দরীদের দিকে হা করে চেয়ে থাকে। তাদের ছবিতে লাভ রিয়েক্ট দেয়। ইনবক্সে তাদের বলে, সে নাকি সিঙ্গেল। যার সঙ্গে ইয়ে তাকে নিয়ে নাকি হ্যাপি না। ফাজিল কোথাকার। এইগুলোরে সাইজ করার জন্য বিদেশ গিয়ে মোটা চালের ভাতের সাইজ মেপে একটা নালিশ করা যেতে পরে।
সিএনজি অটোরিকশাগুলোয় মিটার ব্যবস্থা থাকলেও আজ পর্যন্ত কোনো যাত্রী মিটারের ভাড়ায় যেতে পারেনি। আর জিজ্ঞেস করলেই বলে যাবে না। মিরপুর? যামু না। ফার্মগেট? যামু না। নীলক্ষেত? যামু না। গাবতলী? যামু না? ওই, যাবি না কেন? মনে অনেক কষ্ট আমাদের। এই কষ্টের কথা নালিশ আকারে বলার জন্য বিদেশ যাওয়া যেতেই পারে।
গাড়িতে স্টুডেন্ট ভাড়া নেওয়ার কথা থাকলেও কেউ কেউ সেই কথা রাখে না। ফলে বাড়তি ভাড়া জোগানোর জন্য স্টুডেন্টদের বাবার পকেটে হাতচালান দিতে হচ্ছে। আর এতে করে তারা পড়ালেখার পেছনে যথেষ্ট সময় ব্যয় না করে টাকা হাতানোর ব্যাপারে হাত পাকিয়ে ফেলছে। তাই এ ব্যাপারে মিনিমাম এক হাজার টাকার নোটের মূল্যমান পর্যায়ে নালিশ বিদেশ গিয়ে করা যেতে পারে।
বাসায় বিদেশি সিরিয়াল দেখা নিয়ে ঘরে ঘরে স্বামী-স্ত্রীতে গ্যাঞ্জাম লেগেই থাকে। টিভির রিমোট স্ত্রীর হাত থেকে স্বামীর হাতে আসে না কখনোই। এত বড় একটা সমস্যা নিয়ে ঘরে বসে থাকার কোনো মানে হয়? সোজা বিদেশের দিকে হাঁটা দিন। বিদেশ গিয়ে নালিশ করার সময় বলুন, ইয়ে... মানে...
পাবলিক পরিবহনে সিট আছে বলে লোভ দেখিয়ে যাত্রীদের টেনে উঠানোর পর দেখা যায়, গাড়িতে একটা সিটও ফাঁকা নেই। আর এভাবেই দিনে দুপুরে লোক ঠকানো হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এটি নিয়েও বিদেশে নালিশ করা যেতে পারে।