চুয়াডাঙ্গায় বেসরকারিভাগে গড়ে উঠেছে মরুর প্রাণী দুম্বার খামার। ছোট আকারে কৃত্রিম মরুভূমিও গড়ে তোলা হয়েছে খামারে। এতে বাংলাদেশের মাটিতে মরুর ছোঁয়া পাচ্ছে দুম্বাগুলো। খামারিদের দাবি, দেশীয় ভেড়া প্রজাতির এ প্রাণী পালনে কোনো প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হচ্ছে না। প্রজননে বছর বছর বংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে দুম্বার। স্থানীয় আবহাওয়া দুম্বা পালনের উপযোগী হওয়ায় দেখা দিয়েছে নতুন সম্ভাবনা। জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কোষাঘাটা গ্রামে এ দুম্বার খামার গড়ে তুলেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়েভ ফাউন্ডেশন।
সরেজমিন খামারে গিয়ে দেখা যায়, বড় আকৃতির একটি মাচা ঘরে রাখা হয়েছে দুম্বাগুলো। এর আঙ্গিনায় রয়েছে সবুজ ঘাস। এক স্থানে গড়ে তোলা হয়েছে কৃত্রিম মরুভূমি। এখানেই ঘুরে ফিরে খাবার খাচ্ছে দুম্বাগুলো। খাওয়া শেষে আবারও উঠে যাচ্ছে মাচা ঘরে।
খামার সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৯ সালে আইয়োশি ও রেড মাসাই জাতের ছয়টি দুম্বা নিয়ে যাত্রা শুরু খামারের। এর মধ্যে একটি পুরুষ ও পাঁচটি নারী দুম্বা। ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সমন্বিত খামারে পালন করা হচ্ছে এসব দুম্বা। বর্তমানে এ খামারে ছোট-বড় ২৬টি দুম্বা রয়েছে। ইতোমধ্যেই এ খামার থেকে কয়েকটি দুম্বা বিক্রিও হয়েছে।
খামারের পরিচর্যাকারী মনোয়ার হোসেন জানান, দুম্বা ভেড়ার মতোই সবুজ ঘাস, গাছের পাতা, গম, ভুট্টা জাতীয় খাবার খেয়ে থাকে। বাংলাদেশের আবহাওয়া দুম্বার জন্য সহনীয় হওয়ায় এর রোগবালাই নেই বললেই চলে। তিন থেকে চার বছরে পরিণত বয়সের হয় দুম্বা। তখন ওজন হয় ১০০ থেকে ১২০ কেজি। কোরবানির সময় এ প্রাণীর চাহিদা থাকে অনেক। পূর্ণবয়স্ক দুম্বা বছরে দুইবার বাচ্চা দিয়ে থাকে।
স্থানীয়রা জানান, দুম্বা এতদিন টিভির পর্দায় দেখেছি। এখন আমাদের জেলাতেই এ প্রাণী পালন হচ্ছে। শিশুদের স্বচক্ষে দেখানো যাচ্ছে মরুর দুম্বা।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. উজ্জ্বল হোসাইন বলেন, দেশীয় ভেড়া জাতীয় প্রাণী হওয়ায় দুম্বা পালনে কোনো অসুবিধা নেই। এর বাজার মূল্য বেশি। ফলে দুম্বা পালনে খামারিরা লাভবান হতে পারবেন।
প্রাণিসম্পদ বিভাগ সব সময়ই খামারিদের পাশে আছে। যে কোনো প্রয়োজনে পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করা হচ্ছে।