কুমিল্লায় টাইলস ও মোজাইকের পেশায় আসছেন মেয়েরা। কাজ শিখছেন কনি, টেপ ও হাতুড়ি হাতে নিয়ে। তাদের হাতের ছোঁয়ায় পাথরে ফুল ফুটছে। প্রজাপতি ডানা মেলছে। এ জন্য তারা দুই, তিন ও ছয় মাস মেয়াদি কোর্স করছেন। তাদের কেউ এসএসসি পাস কেউবা অষ্টম শ্রেণি। কেউ সরাসরি কাজ করতে চান। কেউ ব্যবসা করতে চান। কেউবা কাজ শিখে বিদেশে যেতে চান। কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ে অবস্থিত সিসিএন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে গিয়ে এ তথ্য জানা যায়।
ইনস্টিটিউটের ল্যাবে গিয়ে দেখা যায়, কেউ মোজাইকের কাজ করছেন। কেউ টাইলস বসাচ্ছেন সাবলীল ভঙ্গিতে। প্রশিক্ষক তাদের ত্রুটি ধরিয়ে দিচ্ছেন। মোজাইক টাইলসের কাজ শেখা প্রশিক্ষণার্থীদের অধিকাংশ নারী। এ ছাড়া রড বাইন্ডিং, গার্মেন্ট ও ইলেকট্রিক্যালসহ ছয়টি ট্রেডে কাজ শিখছেন তারা।
সূত্র মতে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেইপ) এই প্রশিক্ষণ বাস্তবায়ন করছে। রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউসিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) মাধ্যমে আউটসোর্সিং হিসেবে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সিসিএন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। এখানে দেড় হাজারের মতো শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তাদের ৯৯ ভাগের বেশি নিজেরা কাজে যোগ দিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছে। শিক্ষার্থী শান্তা ও সালমা আক্তার। তাদের টাইলসের কাজ শিখতে দেখা যায়। একজন অষ্টম শ্রেণি অন্যজন এসএসসি পর্যন্ত পড়েছেন। তারা দুজনে কাজ শিখে ব্যবসা করতে চান। পিতা-মাতার পাশে দাঁড়াতে চান। প্রশিক্ষক আনোয়ার হোসেন খন্দকার বলেন, এখানকার মেয়েরা মনোযোগ দিয়ে কাজ শিখছেন। তারা নিজেদের দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে চান। কাজ শিখে অনেকে স্বাবলম্বী হয়েছেন। সিসিএন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা ড. তারিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সরকারের এই প্রজেক্টের লক্ষ্য ছিল ৫ লাখ দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা।