প্রবাসী মিজানুর রহমান সুমন অসহায় ও পীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। করছেন দরিদ্রদের চিকিৎসা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভুক্তভোগী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন। বিদেশ থেকে অসহায় প্রবাসীদের লাশ দেশে আনতে, গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ, প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসনেও এগিয়ে এসেছেন...
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের সৌদি আরবপ্রবাসী মিজানুর রহমান সুমন। সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে যারা অবহেলিত-অনাথ তাদের স্বপ্নসারথি তিনি। ২০১৭ সালের কথা। কুমিল্লার লাকসাম পৌরশহরের আল-আমিন স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ফারজানা আক্তার সাফার দুটি কিডনিই বিকল। চিকিৎসায় প্রয়োজন ২১ লাখ টাকা। মেয়েকে চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই বাবার। জানতে পেরে ওই স্কুলছাত্রীর চিকিৎসার পুরো টাকা দেন মিজানুর রহমান সুমন। অনুদানের ওই টাকায় ভারতে নিয়ে সাফার শরীরে কিডনি সংযোজন করা হয়। বর্তমানে সাফা সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। ২০১৭ সালে কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়ে অসহায়দের পাশে দাঁড়ান তিনি। রোহিঙ্গা মুসলমানদের মধ্যে প্রায় কোটি টাকার ত্রাণ ও নগদ অনুদান বিতরণ করেন। তিনি মনোহরগঞ্জের বড়কেশতলা উচ্চবিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবন নির্মাণে এককভাবে শতভাগ আর্থিক অনুদান, লক্ষণপুর নুরুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবন করে দেওয়ার লক্ষ্যে আর্থিক অনুদানসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে সহায়তা করেছেন। এ ছাড়া মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানার জন্য জমি প্রদান ও আর্থিক সহায়তা করেছেন। সৌদি আরবের একজন সফল প্রবাসী ব্যবসায়ী তিনি। সেখানে একাধিক হোটেলসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। অসংখ্য বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন। প্রবাসে মারা যাওয়া বেশ কয়েকজন প্রবাসীর লাশ বাংলাদেশে আনতে আর্থিকসহ সামগ্রিক সহযোগিতা করে তিনি প্রশংসা কুড়িয়েছেন। করোনাকালীন অর্থকষ্টে থাকা মানুষের মধ্যে খাবার ও নগদ অর্থ বিতরণ, পথশিশুদের সহযোগিতা, ঘর না থাকা মানুষকে ঘর নির্মাণ, রমজানে অসহায়দের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ, এতিমখানায় খাবার বিতরণ, প্রতিবন্ধীদের উপার্জনের জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করে দেওয়ার অসংখ্য নজির রয়েছে তার। ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় তিনি লাকসাম, মনোহরগঞ্জ ও নাঙ্গলকোটের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি সেই সময় প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচ করে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ বন্যার্ত অসহায় মানুষের মধ্যে পৌঁছে দিয়েছেন। মানবিকতায় অনন্য নজির স্থাপনের জন্য ইতোমধ্যে দেশবিদেশে সংবর্ধিত হয়েছেন তিনি। পেয়েছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সম্মাননা। সৌদি আরবপ্রবাসী মিজানুর রহমান সুমন বলেন, ‘সামাজিক ও মানবিক দায়িত্ববোধ থেকেই জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত আমি অসহায় মানুষের পাশে থাকতে চাই।’