রবিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

কূলকিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না জেমি ডে

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ফুটবলে উভয় সংকট বাংলাদেশের। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন কাতার ও ভারতের বিপক্ষে যে নৈপুণ্য প্রদর্শন করে তাতে মনে হচ্ছিল জামালরা জাগতে শুরু করেছে। কিন্তু এস.এ গেমসে ভরাডুবি ও বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে সেমিফাইনাল থেকে বিদায়। যতটা আশা জেগেছিল দুই টুর্নামেন্টে ব্যর্থতায় আবারও হতাশা নেমে এসেছে। কথা হচ্ছে ফুটবল কি এভাবেই চলবে। কখনো কি আর শিরোপা জেতা সম্ভব হবে না? জাতীয় দল শেষবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ২০০৩ সালে। এরপর ২০১০ সালে এস.এ গেমসে সোনা জয়। ১০ বছর ধরেই শিরোপার বাইরে লাল-সবুজের দল। ২০১৫ সালে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে ফাইনাল খেললেও রানার্স-আপ হয় বাংলাদেশ।

এক সময়ে বলা হতো দমের ঘাটতি ও ফিটনেসের কারণে বাংলাদেশ লড়তে পারে না। এখন তো আবার অনেকে বলেন, ফুটবলারদের এখন যে স্ট্যামিনা তা আগের চেয়ে অনেক ভালো। তাহলে হারের বৃত্তেই বন্দি কেন। ইংলিশ কোচ জেমি ডে এ নিয়ে বিরক্ত। তিনি বলেন, ফুটবল গোলের খেলা। আর এই আসল কাজটি করতে ব্যর্থ। সহজ সহজ সুযোগ নষ্ট। শির্ষদের নিয়ে কি যে করবেন কূল কিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না জেমি ডে। এমনকি প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল বাইরে মারছে।

 জেমি ডে এর পেছনে পেশাদার লিগকে দায়ী করেছেন।

তিনি বলেন, অধিকাংশ দলই লিগে বিদেশি স্ট্রাইকারদের ওপর নির্ভর। ওরাই মূলত গোল করছেন। স্থানীয়রা অসহায়ভাবে তা দেখছে। এর প্রভাব পড়ছে জাতীয় দলে। লিগে যদি স্থানীয় স্ট্রাইকারদের গুরুত্ব দেওয়া হতো তাহলে আন্তর্জাতিক ম্যাচে এতটা মিস হতো না।

জেমি বলেছেন, বিদেশি স্ট্রাইকারদের কথা। বাস্তবে কি ক্লাবগুলো দেশিদের ওপর নির্ভর হয়ে থাকতে পারবে। শিরোপার জন্য বিদেশিদের আনবেই। কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে কেউ কি ঝুঁকি নিতে চাইবে। তাহলে সমাধান কোথায়। জেমি বলছেন এক কথা, আর ক্লাবগুলো অন্য পথে। উভয় সংকটে পড়ে বাংলাদেশ বেসামাল।

সর্বশেষ খবর