রবিবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

কিংবদন্তিদের সঙ্গে একাদশে মুশফিক

নেইল হার্ভে (ইংল্যান্ড), শচীন টেন্ডুলকার (ভারত), ডেনিস কম্পটন (ইংল্যান্ড), মার্টিন ক্রো (নিউজিল্যান্ড), গ্রায়েম পোলক (দক্ষিণ আফ্রিকা), স্যার গ্যারি সোবার্স (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক, বাংলাদেশ), ইমরান খান (অধিনায়ক, পাকিস্তান), অনিল কুম্বলে (ভারত), ওয়াসিম আকরাম (পাকিস্তান) এবং প্যাট কামিন্স (অস্ট্রেলিয়া)।

ক্রীড়া ডেস্ক

কিংবদন্তিদের সঙ্গে একাদশে মুশফিক

১০ জানুয়ারি বাংলাদেশে আসছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবীয়দের সঙ্গে খেলার প্রস্তুতি নিতে সবার আগে অনুশীলন করছেন মুশফিকুর রহিম

২০০৫ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে টেস্ট অভিষেক। সেটা আবার লর্ডসের মতো অভিজাত ক্রিকেট ভেন্যুতে। স্টিভ হার্মিসন, ম্যাথু হোগার্ড, অ্যান্ড্রু ফ্লিনটপ ও সাইমন জোন্সদের নিয়ে গড়া ইংল্যান্ডের অভিষেক টেস্টে আহামরি পারফরম্যান্স ছিল না কিশোর ক্রিকেটার মুশফিকের। প্রথম ইনিংসে ১৯ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৩ রান করেছিলেন। রান করতে না পারলেও নিজের জাত চিনিয়েছিলেন অভিষেকেই। সেই শুরু। বয়স এখন ৩৪ ছুঁই ছুঁই। এখনো দাপটের সঙ্গে ক্রিকেট খেলে চলেছেন। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে বাংলাদেশ সেরা টেস্ট ক্রিকেটার মুশফিক। ১৬ বছর আগে অভিষিক্ত মুশফিক ‘ক্রিকেটের বাইবেল’ খ্যাত উইজডেনের অদ্ভুত এক একাদশে সুযোগ পেয়েছেন। একাদশটি অদ্ভুত হলেও সেখানে ঠাঁই মিলেছে স্যার গ্যারি সোবার্স, শচীন টেন্ডুলকার, গ্রায়েম পোলক, ইমরান খান, ওয়াসিম আকরাম, নেইল হার্ভে. অনীল কুম্বলেদের মতো লেজেন্ড ক্রিকেটারদের। কিশোর বয়সে অভিষেকের পর ৩০ বছর পরও পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে দলে অবদান রেখেছেন, এমন দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলে যাওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে থেকে বাছাই করে সেরা টেস্ট একাদশ গঠন করেছে উইজডেন। সেই একাদশে কিংবদন্তি ক্রিকেটারের সঙ্গে এক কাতারে জায়গায় পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত মুশফিক, ‘আলহামদুলিল্লাহ। দারুণ এক অনুভূতি কিংবদন্তিদের সঙ্গে এমন একটি দলে থাকতে পেরে। আমি সত্যিই গর্বিত।’ একাদশে সুযোগ পাওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ক্রিকেট খেলছেন মুশফিক ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স।

বাংলাদেশের পক্ষে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানো মুশফিককে দলে নেওয়া প্রসঙ্গে উইজডেন জানায়, ‘এই বয়সেও অসাধারণ খেলে যাচ্ছেন মুশফিকুর রহিম। ধারাবাহিকতা ধরে রেখে সে এখন নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান। ছোট খাটো গড়নের এই ক্রিকেটার একমাত্র উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে ৩টি ডাবল সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েছেন। নিজ দেশের ৬০ শতাংশ ডাবল সেঞ্চুরিই তার দখলে।’ উইজডেনের কিশোর একাদশে থাকতে পারতেন মোহাম্মদ আশরাফুলও। অভিষেকেই সবচেয়ে কম বয়সে টেস্ট সেঞ্চুরি করে ইতিহাস গড়া আশরাফুল ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি পরবর্তীতে। ১৬ বছর আগে অভিষেক। টাইগারদের পক্ষে সর্বশেষ টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। জিম্বাবুয়ের ২০৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। করোনাভাইরাসের জন্য গেল বছর ৬/৭ মাস পুরোপুরি ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন ক্রিকেটাররা। গেল বছর ৫টি ডাবল সেঞ্চুরি হয়েছে। তাদের একটি করেছেন মুশফিক। ২০ বছরের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে বাংলাদেশের পক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন মুশফিক, সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। মুশফিক একাই করেছেন ৩টি। ৭০ টেস্ট ক্যারিয়ারে তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২১৯, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। সাবেক এই অধিনায়ক ৭০ টেস্টের ১৩০ ইনিংসে ৩৬.৪৭ রান করেছেন ৪৪১৩। সেঞ্চুরি ৭টি এবং হাফসেঞ্চুরি ২১টি। 

সর্বশেষ খবর