শেষ হয়েছে বিশ্ব ফুটবলে মেগা দুই টুর্নামেন্ট। করোনাভাইরাস নিয়ে গোটা বিশ্ব আতঙ্কিত। বিশেষ করে বাংলাদেশের অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এমন আতঙ্ক ও হতাশা কিছুটা ভুলিয়ে দিয়েছিল ইউরো ও কোপার মতো বড় দুই টুর্নামেন্ট। বিশ্বকাপ নয়, তবুও ফুটবলপ্রেমীরা যেভাবে উন্মাদনায় মেতেছিল তা কোনো অংশে বিশ্বকাপের চেয়ে কম নয়। বিশ্বের সব নামিদামি তারকারা দুই টুর্নামেন্টে খেলে। কাতার বিশ্বকাপের বড় একটা ড্রেস রিহার্সেল হয়ে গেল। আগেও হয়েছে কিন্তু ইউরো ও কোপা ঘিরে এমন উত্তেজনা কখনো দেখা যায়নি। টুর্নামেন্টে কেউ হেসেছে কেউবা আবার কেঁদেছে। ফুটবলে এটাই রীতি। একই দিনে ফাইনালের মধ্যদিয়ে মেগা দুই টুর্নামেন্টের পর্দা নেমেছে।
দুই টুর্নামেন্টেই নতুন চ্যাম্পিয়নের দেখা মেলেনি। তবে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটেছে। ৫৩ বছর পর ইউরো কাপের চ্যাম্পিয়নের ট্রফি ফিরে পেয়েছে ইতালি। অন্যদিকে আর্জেন্টিনা ২৮ বছর পর কোপায় শিরোপার আসনে বসেছে। তবে ব্যতিক্রমী ঘটনা কিংবদন্তি লিওনেল মেসির নেতৃত্বে আর্জেন্টিনা প্রথম ট্রফি জিতল। চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইতালি ও আর্জেন্টিনা। যদি বলি এ বিজয় বাংলাদেশেরও। আমার কথায় অনেকে হয়তো অবাক হবেন। তারপরও বলব এ বিজয় ফুটবলের, এ বিজয় বাংলাদেশেরও। কোপা ও ইউরো যারা খেলেছে তাদের চেয়ে উন্মাদনা বাংলাদেশেও কম ছিল না। বরং আরও বেশি হয়েছে। এ দেশেতো কোটি কোটি আর্জেন্টিনার সমর্থক। তাদের প্রত্যাশা ছিল মেসির হাতে শিরোপার ট্রফি উঠুক। ইতালির সমর্থক সংখ্যাও একেবারে কম নয়। তাদের বিজয়ে উৎসবে মেতেছে বাংলাদেশ। একটা কথা বরাবরই শুনছি, বাংলাদেশের ফুটবলে জনপ্রিয়তা শেষ হয়ে গেছে। যদি তাই হতো টুর্নামেন্ট ঘিরে এমন উন্মাদনায় কি তারা মেতে উঠত। তবে এই উন্মাদনাকে কাজে লাগিয়ে ফুটবল উন্নয়নে পরিকল্পনা নিতে হবে।