বয়সকেও হার মানাচ্ছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। অনেকেই বলেন, অনেক তো হলো। সুনাম ধরে রেখে ফুটবলকে এখনই তার বিদায় জানানো উচিত। ফর্ম পড়ে গেলে সম্মানের সঙ্গে বিদায় জানাতে পারবেন না। বরং সমালোচিত হবেন। না, ফুড়িয়ে যাননি বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম হিরো। এখনো তিনি প্রতিপক্ষদের কাঁদিয়ে ছাড়েন। তার প্রমাণও মাঠে পাওয়া গেল। গতকাল উয়েফা নেশন্স লিগে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে পর্তুগালের জয়সূচক গোলটি করেন তিনিই। ম্যাচে স্কটটমিনের গোলে স্কটিশরা এগিয়ে যায়। পিছিয়ে পড়ে পর্তুগাল এলোমেলো হয়ে যায়। মনে হচ্ছিল যে, কোনো সময় স্কটল্যান্ড আবার গোল করে বসবে।
গোল শোধ হবে এমন সুযোগও তৈরি করতে পারছিল না পর্তুগিজরা। দ্বিতীয়ার্ধে কোচ রবার্তো মার্তিনেজ তার সবচেয়ে বড় খেলোয়াড়কে মাঠে নামান। যদি খেলার মোড় ঘুরে যায়। রোনালদো মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচের চেহারা পাল্টে যায়। পর্তুগালের গতিও বেড়ে গেলে স্কটল্যান্ডের রক্ষণভাগে ফাটল ধরে।
৩৯ বছর বয়সে দম আগের মতো থাকার কথা না। কিন্তু রোনালদো বলেই কথা। অসম্ভবকে সম্ভব করাই যার কাজ। তার গতিময় খেলায় সতীর্থরাও উজ্জীবিত হলেন। ৫৩ মিনিটে ম্যাচে সমতাও ফেরায় পর্তুগাল। পরিকল্পিত আক্রমণ থেকে গোলটি করেন ব্রানো ফার্নান্দেজ। এরপরই পর্তুগাল ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। তারপরও ম্যাচ ড্রর দিকেই যাচ্চিল। কিন্তু ৮৮ মিনিটে সমর্থকদের উৎসবে ভাসান সিআর সেভেন। সুপার সাব হয়ে গেলেন সুপারহিরো।
উয়েফা নেশন্স লিগে আগের ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষেও গোল করেন রোনালদো। সেই গোলে তিনি ছুঁয়েছিলেন ৯০০ গোলের মাইলফলক। ক্লাব ও আন্তর্জাতিক ফুটবল মিলিয়ে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ৯০০ গোল করেন। স্বপ্ন তার ১০০০। এখন বাকি থাকল শুধু ৯৯। এদিকে লুকা মডরিচের গোলে ক্রোয়েশিয়া পরাজিত করেছে পোল্যান্ডকে।