কাউকে জানাননি। এমনকি ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তাদেরও বলেননি। হঠাৎই গতকাল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে দোকান পরিদর্শনে যান যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। পরে অবশ্য খবর পেয়ে ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তারা আসিফের কাছে ছুটে আসেন। ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোয় অনিয়ম বা দুর্নীতির কথা দায়িত্ব দেওয়ার পরই জেনেছেন। কিন্তু তিনি যে ভবনের অভিভাবক সেই ক্রীড়া পরিষদের দুর্নীতি যে আকাশছোঁয়ার মতো তা হয়তো জানতেন না। নিয়ম অনুযায়ী ক্রীড়ামন্ত্রীরাই ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান হয়ে থাকেন। আসিফও এখন সেই বাড়তি দায়িত্বে।
পরিদর্শনে এসেই তিনি টের পান দোকান ঘিরে সমুদ্র চুরির বিষয়টি। দোকানের চুক্তিনামা ও কয়েকজন মালিক-কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলেই আঁচ করতে পারেন। ক্রীড়া পরিষদের কাগজপত্রে লেখা আছে ভাড়া হিসেবে প্রতি বর্গফুটের ২০ কিংবা ২২ টাকার কথা। অথচ আলাপ করে জানতে পারেন ভাড়া হিসেবে নেওয়া হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা। কি অকল্পনীয় দুর্নীতি!
বিশাল অঙ্কের ক্ষতির শিকার হচ্ছে সরকার। কারা আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন তা নিশ্চয়ই বের করে ফেলবেন মেধাবী তরুণ ক্রীড়া উপদেষ্টা। ছোট অঙ্গন বলেও ক্রীড়াঙ্গনে এতদিন কি বিশাল অর্থ লোপাট হয়েছে কয়েকটি দোকান পরিদর্শন করেই তিনি টের পেলেন।