ব্যবধান বড় বা ছোট হোক জয় পাওয়াটাই বড় স্বস্তি। কুমিল্লা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে মাঠের যে করুণ অবস্থা তাতে তো বুট পরে দাঁড়ানোটাই কষ্টকর। সেখানে ফুটবলে পারফরম্যান্সের কথা ভাবাই যায় না। এ অবস্থায় চলছে দেশের ফুটবলে সবচেয়ে মর্যাদাকর আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। দুই জনপ্রিয় দল মোহামেডান ও ঢাকা আবাহনী ভেন্যু হিসেবে বেছে নিয়েছে ধীরেন্দ্রনাথকে। মাঠের মতো গ্যালারিতে ফুটে উঠেছে রুগ্নদশা। দেখলে মনে হবে শতবর্ষের কোনো পরিত্যক্ত স্টেডিয়াম। অথচ এ মাঠে লিগ হয়েছে, ফেডারেশন কাপে ফাইনালও হয়েছে। গত মৌসুমে ক্রিকেটে ব্যস্ত থাকায় সেখানে ফুটবল হতে পারেনি। মাঠ বা গ্যালারির যে কোনো পরিচর্যা হয়নি তা চোখ পড়লেই বোঝা যায়। কিছু করারও নেই। ক্লাবগুলোর দাবি ছিল তারা ঢাকার বেশি দূরে খেলতে পারবে না। বিকালে খেলেই রাতে ফিরে আসতে চায়। তাইতো কিংস অ্যারিনা ছাড়া কুমিল্লা, গাজীপুর, ময়মনসিংহ ও মুন্সিগঞ্জকে বেছে নেওয়া হয়। সত্যি বলতে কি, চার ভেন্যুই খেলার অনুপযোগী। এর মধ্যে কুমিল্লা যাচ্ছেতাই। মোহামেডান এ মাঠেই বড় জয় পেয়ে গেছে। শুক্রবার তারা হারিয়েছে বসুন্ধরা কিংসকে। গতকাল ঢাকা আবাহনী তাদের ঘরের মাঠে জয় পেয়েছে। ১-০ গোলে পরাজিত করেছে পেশাদার লিগে প্রথমবার খেলা ঢাকা ওয়ান্ডারার্সকে। মোহামেডান তাদের শুরুটা করেছিল ওয়ান্ডারার্সকে ৬-০ গোলে হারিয়ে। আসলে ব্যবধান যতই ছোট হোক এতেই স্বস্তি আবাহনীর। এ মাঠে পুরো ৩ পয়েন্ট পাওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার। খেলবে কি, অনুপযোগী মাঠে খেলোয়াড়দের দৌড়াতে হচ্ছিল সতর্কভাবে। কেননা যে কোনো সময় যে-কেউ বড় ইনজুরির শিকার হতে পারেন।
আবাহনী বিদেশি ফুটবলার ছাড়াই এবার খেলছে। প্রথম ম্যাচে ইয়ংমেন্স ফকিরেরপুলকে ২-০ গোলে হারানোর পর টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জিতল। প্রথমার্ধে ওয়ান্ডারার্সের জালে বল না জড়াতে পারলেও দ্বিতীয়ার্ধে ১৪ মিনিটে সুমন রেজা হেডে জালে বল জড়িয়ে আবাহনীকে স্বস্তির জয় এনে দেন। ময়মনসিংহ রফিকউদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে পুলিশ ৪-১ গোলে হারায় ফকিরেরপুলকে। অন্যদিকে ফর্টিস ও ব্রাদার্স ইউনিয়ন ১-১ গোলে ড্র করে।