সংসদ নির্বাচনে ক্রীড়বিদ বা সংগঠকদের জয়ী হওয়া নতুন কোনো ঘটনা নয়। ১৯৮৬ সাল থেকেই এ অঙ্গনের লোকরা নির্বাচিত হয়ে আসছেন। দশম সংসদ নির্বাচনেও ক্রীড়াঙ্গনের বেশ ক'জন নির্বাচিত হয়েছেন। তবে এর মধ্যে বাজিমাত করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। বর্তমান নির্বাহী কমিটির দুই সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আরিফ খান জয় প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন।
নাবিল যশোর, জয় নেত্রকোনা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বাফুফের নির্বাহী সদস্য শামসুল হক চেৌধুরী চট্টগ্রাম থেকে টানা দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হয়েছেন। তিনজন জয়ী হওয়াতে ফেডারেশন খুশি। শোনা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই বাফুফে তাদেরকে সংবর্ধনা জানাবে। এরা জয়ী হওয়াতে বাফুফে আশা করছে এ থেকে তারা সরকারের কাছে আরও নতুন কিছু দাবি পেশ করতে পারবে।
বাফুফের নির্বাহী সদস্য অভিজ্ঞ সংগঠক হারুনুর রশিদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুটবলকে সব সময় গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। এ খেলা উন্নয়নে তার সহযোগিতা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এবার আমরা ফেডারেশনের তিনজনকে সংসদ সদস্য হিসেবে পেয়েছি। এখন সরকারের কাছে যে সহযোগিতা চাইব তা সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ও এ তিনজনের মাধ্যমে দ্রুত বাস্তবায়ন করা যাবে বলে আশা রাখি। বিশেষ করে ফুটবল উন্নয়নে বড় বাধা অর্থ। আশা করব তিন সংসদ সদস্যের মাধ্যমে তাও আদায় করা যাবে।
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেছেন, ফুটবল উন্নয়নে যে বাজেট আমরা তৈরি করি তা অধিকাংশ সময়ে কাটছাঁট করা হয়। আশা রাখি নাবিল, শামসু ও জয় সংসদ সদস্য হিসেবে এক্ষেত্রে বড় ধরনের সহযোগিতা করতে পারবেন।
নির্বাহী কমিটির আরেক সদস্য জাতীয় দলের সাবেক নন্দিত ফুটবলার শেখ মো. আসলাম বলেন, ফুটবলে তিন যোগ্য লোকই এবার সংসদ সদস্য হয়েছেন। সুতরাং আশা করা যায় তাদের মাধ্যমে ফুটবলে অনেক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা যাবে। দীর্ঘদিন ধরে দেশে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট হচ্ছে না। এ নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। সালাউদ্দিন ও হারুন ভাইতো আছেনই এখন তিনজন সংসদ সদস্য হওয়াতে বঙ্গবন্ধু কাপ মাঠে নামানোর ব্যাপারে সরকার থেকে বড় সহযোগিতা আদায় করতে পারবে। আশা রাখি অনেকদিন পর চলতি বছরেই দেশে আন্তর্জাতিক ফুটবল দেখা যাবে। আসলাম এবার নতুন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হিসেবে বাফুফে থেকে সংসদ সদস্য হওয়া কাউকে দেখতে চান।