হকি বলতেই এক সময় পাকিস্তান ও ভারতের নামই বেশি উচ্চারিত হতো। কারণ দুদেশই ছিল হকির পরাশক্তি। এখন ফুটবলের মতো এ খেলাও চলে গেছে এশিয়ার নিয়ন্ত্রণের বাইরে। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বা অলিম্পিক গেমসে এশিয়ার পাত্তা মিলছে না। তবে এটা ঠিক এশিয়ার মধ্যে পাকিস্তান ও ভারতের পর বাংলাদেশের সম্ভাবনা ছিল বেশি। দেশে হকির কিংবদন্তি আবদুস সাদেক ছাড়াও বেশ ক’জন খ্যাতনামা খেলোয়াড় ছিলেন। যারা পারফরম্যান্সের দিক দিয়ে অনেক পশ্চিম পাকিস্তানিদের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন। সঠিক পরিচর্যা ও দিক নির্দেশনার কারণে এশিয়া অঞ্চলে বাংলাদেশ শক্তিশালী রূপ ধারণ করতে পারেনি। পিছিয়ে থেকেও দক্ষিণ কোরিয়া এতটা উন্নয়ন ঘটিয়েছে যে ভারত কিংবা পাকিস্তান তাদের বিপক্ষে কুলিয়ে উঠতে পারছে না। যে জাপানকে অনায়াসে হারানো যেত তারাও এগিয়ে গেছে। যাক তারপরও দেশের তিনপ্রধান খেলার মধ্যে হকিও অন্যতম। আগে যাই হোক না কেন বর্তমান ফেডারেশন হকি উন্নয়নে প্রচেষ্টার কমতি রাখছে না। এবার এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ ক্রিকেট, ফুটবল ও হকিতে অংশ নিচ্ছে। গতবারই এশিয়ান গেমসে ক্রিকেট ইভেন্ট অন্তর্ভুক্ত হয়। আর প্রথমটাই বাজিমাত করে ফেলেন আশরাফুলরা স্বর্ণ জিতে। মেয়েরা জিতেছিলেন রৌপ্য। এবারও পুরুষ বিভাগে স্বর্ণ জেতার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু হকি বা ফুটবলে পদক যে আসবেই না তা নিশ্চিত করে বলা যায়। অভিজ্ঞ ফুটবলার মামুনুল বলেছেন গেমসে গ্রুপ পর্বে লড়াইয়ের টার্গেট নিয়ে মাঠে নামব।
হকির টার্গেট কি? তা জানতেই কথা হয় দেশের তারকা খেলোয়াড় মামুনুর রহমান চয়নের সঙ্গে। যদিও ফেডারেশন ঘোষণা করেনি। কিন্তু গেমসে হকি দলকে চয়নই নেতৃত্ব দেবেন তা অনেকটা নিশ্চিত। প্রায় তিন মাস ধরে পাকিস্তানের কোচ নাভেদ আলমের তত্ত্বাবধানে হকি দল অনুশীলন করছে। বিকেএসপি ছেড়ে এখন অনুশীলন চলছে মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে। প্রস্তুতি কেমন হচ্ছে! চয়নের কথা ভালোই। ভালো মানে এশিয়ান গেমসে ভালো কিছু আশা করা যায়। চয়ন বললেন, যে কোনো দলের টার্গেট থাকে ভালো খেলা। কেউ খারাপ খেলতে মাঠে নামে না। আমরাও এশিয়ান গেমসে ভালো করার চেষ্টা চালাব। তাই বলে আবার পদক জেতার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি না। যেখানে পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো শক্তিশালী দল আছে সেখানে অন্য কারো পদক পাওয়ার সম্ভাবনাক্ষীণ বলা যায়। গ্রুপে আমাদের প্রতিপক্ষ হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর। সুতরাং বুঝতেই পারছেন সিঙ্গাপুর ছাড়া বাকিরা শক্তিশালী। তবে আমাদের লক্ষ্য থাকবে গ্রুপে প্রতিটি ম্যাচে ভালো খেলা। চয়ন বলেন, আমরা পদকের আশা করছি না। কিন্তু ৫ কিংবা ৬ নম্বর অবস্থানে থাকতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাব। গত গেমসে আমাদের অবস্থান ছিল ৮ নম্বরে। সেটাকে টপকানোটাই বলতে পারেন আমাদের মূল টার্গেট। গেমসে যাওয়ার আগে ঢাকায় ওয়ার্ল্ড হকি লিগ খেলবেন চয়নরা। প্রতিপক্ষ হচ্ছে শ্রীলঙ্কা ও হংকং।
চয়ন বলেন, দুই দলের মান যাই থাকুক না কেন, ওয়ার্ল্ড হকি লিগ গেমসে উপকারে আসবে। কেননা দলে কিছু তরুণ খেলোয়াড় রয়েছে যাদের আন্তর্জাতিক ম্যাচের অভিজ্ঞতা নেই। এখান থেকেই সাহসটা সঞ্চয় করতে পারবে। তার আগে ভারত ‘এ’ দলের সঙ্গে তিনটি ম্যাচ খেলেছি। হেরেছি কিন্তু লাভ হয়েছে। কারণ ওই দলে ভারতীয় জাতীয় দলের খেলোয়াড়ের সংখ্যা ছিল বেশি। সব মিলিয়ে ভালো প্রস্তুতি নিয়েই গেমসে যাচ্ছি। এখন এই পরিশ্রম সফল হয় কিনা সেটাই দেখার বিষয়।
শিরোনাম
- মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ইরানের হামলার পর কমেছে তেলের দাম
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৪ জুন)
- ‘সিচুয়েশন রুমে’ ট্রাম্পসহ যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা
- বাহরাইনে সাইরেন বাজিয়ে জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ
- কাতার-আমিরাতের পর আকাশসীমা বন্ধ করলো কুয়েত
- উখিয়ায় ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় গুলিতে একজন নিহত
- কুষ্টিয়ায় র্যাবের অভিযানে বিলুপ্তপ্রায় ৬৭ কচ্ছপ উদ্ধার
- কোনোদিন ভোটকেন্দ্রে যায়নি, তারা শেখাচ্ছে কীভাবে ভোট হবে: রনি
- ঝুঁকিতে পোশাকশিল্প
- অর্থনৈতিক সংকট বাড়বে আগামী বছর
- কাতারে মার্কিন ঘাঁটি লক্ষ্য করে ইরানের হামলার নিন্দা আমিরাতের
- আড়াই কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি ১৩ হাজার টাকায়
- রাজধানীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেত্রী আয়েশা গ্রেফতার
- লন্ডন বৈঠকে নির্বাচনী টানেলে প্রবেশ করেছে দেশ : আমীর খসরু
- বাবা হারালেন পিয়া জান্নাতুল
- ইসরায়েলে হামলায় আরেকটি নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করল ইরান
- নাটোরে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাসহ আটক ১৪
- বাংলাদেশে ১ বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ করবে ইইউ
- ইরান অবশ্যই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারবে না বলে একমত জোট : ন্যাটো প্রধান
- নেতানিয়াহুকে ‘হাঁটু গেড়ে না বসানো’ পর্যন্ত হামলা চলবে: ইরান
হকির টার্গেট পাঁচ কিংবা ছয়ে থাকা
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর