সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরছে পাকিস্তানের মাটিতে। নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ম্যাচ খেলছে আফ্রিকান প্রতিনিধি জিম্বাবুয়ে। যদিও দুটি টি-২০ ম্যাচের পর পরশু রাতে হেরেছে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে। তারপরও জয় হয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। ক্রিকেট ফিরেছে পাকিস্তানে। পরশু দুই দলের প্রথম ওয়ানডেতে ৪১ রানে জিতেছে ১৯৯২ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। কাল সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ। দুই বছর ওয়ানডে ক্রিকেট খেলতে নেমে সেঞ্চুরি করে পাকিস্তানের জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন সাবেক অধিনায়ক শোয়েব মালিক। বাংলাদেশের কাছে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর ওয়ানডেতে এটাই পাকিস্তানের প্রথম জয়। অধিনায়ক আজহার আলিরও প্রথম জয়। ২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের উপর বর্বোরোচিত হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। এরপরই সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বন্ধ হয়ে যায় পাকিস্তানে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরাতে গত ছয় বছর চেষ্টার কমতি ছিল না পাকিস্তানের। কিন্তু পারেনি। অবশেষে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড সম্মত হয় পাকিস্তানে আসতে। এসে এর মধ্যেই দুটি টি-২০ ম্যাচসহ একটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে জিম্বাবুয়ে। পরশু রাতে প্রথম ওয়ানডে খেলে। হাই স্কোরিং ম্যাচে সেঞ্চুরি হয়েছে দুটি এবং রান হয়েছে ৭০৯। প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান সাবেক অধিনায়ক শোয়েব মালিকের অপরাজিত ১১২ রানে ভর করে ৩ উইকেটে ৩৭৫ রান করে। যা পাকিস্তানের মাটিতে তাদের সর্বোচ্চ স্কোর। অবশ্য সর্বোচ্চ স্কোর ৩৮৫, প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ, ভেন্যু শ্রীলঙ্কার ডাম্বুলা। পাকিস্তানের মাটিতে সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ৩৫৩, প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। পরশু পাকিস্তানের ইনিংসে
শোয়েব মালিক ছাড়াও হাফ সেঞ্চুরি করেন মোহাম্মদ হাফিজ ৮৬, অধিনায়ক আজহার আলি ৭৯ ও হারিস সোহেল ৮৯*। শোয়েব তার ২১৭ ওয়ানডে ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরির ইনিংসটি খেলেন ৭৬ বলে ১২ চার ও ২ ছক্কায়। ৭০ বলে সেঞ্চুরি করে পাকিস্তানের মাটিতে দ্রুততম সেঞ্চুরির ইনিংস খেলেন শোয়েব মালিক। ৩৭৬ রানের পর্বতসমান টার্গেটে খেলতে নেমে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৩৪ রান করে জিম্বাবুয়ে। অধিনায়ক এল্টন চিগুম্বুরা খেলেন ১১৭ রানের ইনিংস। ৯৫ বলে ১০ চার ও ৪ ছক্কায় সাজানো তার সেঞ্চুরি শুধু ব্যবধানই কমিয়েছে।