বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের কাছে সেমিফাইনালে হারের প্রতিশোধ প্রথম সুযোগেই নিয়ে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপের পর গতকাল দুটি দল এই প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয় সেঞ্চুরিয়ানের সুপারস্পোর্ট পার্কে। সেখানে হাশিম আমলার সেঞ্চুরিতে অতিথিদের ২০ রানে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল প্রোটিয়ারা। রবিবার হবে দ্বিতীয় ওয়ানডে।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ মার্চ বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার ম্যাচে ১ বল বাকি থাকতে ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৪ উইকেটে হারিয়েছিল পরে রানার্স আপ হওয়া নিউজিল্যান্ড।
দক্ষিণ আফ্রিকা ৭ উইকেটে করেছিল ৩০৪ রান। আর জবাবে ৪৮.১ ওভারে ২৮৪ রানে অল আউট হয় নিউজিল্যান্ড। ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরির জন্য ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার জিতেছেন আমলা।
টস জেতা নিউজিল্যান্ড ব্যাট করতে পাঠায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ৪৬ রানে প্রথম উইকেট হারালেও ফাফ ডু প্লেসির তিন নম্বর জায়গায় ব্যাট করতে নামা রাইলে রুসো আর ওপেনার আমলা পোড়ান নিউজিল্যান্ডকে। তৃতীয় উইকেটে ১৮৫ রানের অসাধারণ জুটি গড়ে তোলেন তারা। রুসো সেঞ্চুরির সুবাস পাচ্ছিলেন। কিন্তু ভাগ্য ভালো ছিল না শেষ দিকে। ১১২ বলে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৮৯ রান করে বিদায় নেন তিনি। অবশ্য আমলা পেয়ে যান ক্যারিয়ারের ২১তম সেঞ্চুরি। ১২৬ বলে ১৩টি চার ও ৩টি ছক্কায় তার ব্যাট থেকে এসেছে ১২৪ রান। আর কেউ বড় সংগ্রহ পায়নি।
৩০৫ রানের টার্গেটে ছুটে শুরুতেই হোঁচট খায় নিউজিল্যান্ড। দলের ৩ রানের সময় রঞ্চি হন ডেল স্টেইনের শিকার। কিন্তু এরপর ল্যাথাম ও অধিনায়ক উইলিয়ামসন দারুণ প্রতিরোধ গড়েন। তারা দলকে নিয়ে যান ১০৭ রান পর্যন্ত। ৪৭ রান করে উইলিয়ামসন আউট হয়েছেন। মার্টিন গাপ্টিলও ভালো করার সম্ভাবনা দেখিয়েছিলেন। কিন্তু ২৫ রান করেই বিদায় নিতে হয় তাকে। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা স্বস্তিতে থাকতে দেয়নি নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের। ল্যাথাম দলীয় সর্বোচ্চ ৬০ রান করে ফিল্যান্ডারের শিকার হয়েছেন। এরপর নিশাম ৪১ ও মুনরো ৩৩ রান করেন। জয়ের সম্ভাবনা থাকলেও শেষ দিকে তা ধরে রাখতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন স্টেইন, ফিল্যান্ডার, ইমরান তাহির ও ভিসে।
বিডি-প্রতিদিন/২০ আগস্ট ২০১৫/শরীফ