ভাগ্যই বটে ভারতীয় তরুণ ওপেনার লোকেশ রাহুলের। মুরালি বিজয়ের ইনজুরির সুবাদে দলে সুযোগ পেয়েছিলেন। প্রথম ম্যাচেই সুপার ফ্লপ। গল টেস্টের দুই ইনিংসে করেছিলেন ৭ ও ৫ রান। কলম্বো টেস্টের আগে বিজয় ফিট হওয়ায় রাহুলের বাদ পড়াটা ছিল খুবই স্বাভাবিক। নির্বাচকরা ভেবেও রেখেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ আরেক ওপেনার শেখর ধাওয়ান ইনজুরিতে পড়ায় ভাগ্য খুলে যায় রাহুলের। কলম্বো টেস্ট সুযোগ পেয়ে বাজিমাৎ করলেন। দারুণ এক সেঞ্চুরি করে টেস্টের প্রথম দিনের আলো যেন নিজের দিকে টেনে নিলেন কর্ণাটকের এই তরুণ তুর্কি। ১৯০ বলে ১০৮ রান করেন রাহুল। ১৩টি বাউন্ডারীর সঙ্গে একটি বিশাল ছক্কা। চতুর্থ ম্যাচে ভারতীয় ওপেনারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি এটি।
রাহুলের সেঞ্চুরিতে সাঙ্গাকারার বিদায়ী টেস্টের প্রথম দিনটা নিজের করে নিয়েছে ভারত। দিন শেষে ভারতের সঙ্গে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩১৯ রান করেছে সফরকারীরা। দিনের শেষ বলে দাপুটে ব্যাটিং করতে থাকা রোহিত শর্মা আউট না হয়ে গেলে আরও ভালো অবস্থানে থাকতে পারতো ভারত।
সাঙ্গাকারার বিদায়ী টেস্টে টসে হেরে লঙ্কানরা ফিল্ডিং নিলেও শুরুতেই ভারতকে চমকে দিয়েছিলেন লঙ্কান বোলাররা। প্রথম ওভারেই ওপেনার মুরালি বিজয়কে সাজঘরে পাটিয়ে দেন লঙ্কান পেসার প্রসাদ। দলীয় ১২ রানের মাথায় প্রসাদের দ্বিতীয় ধাক্কা। অজিঙ্কা রাহানেকে ব্যক্তিগত ৪ রানে ফিরিয়ে দিয়ে শুরুতেই টেস্টের লাগাম ধরার চেষ্টা করেছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক বিরাট কোহলি রাহুলের সঙ্গে ১৬৪ রানের দারুন এক জুটি গড়েন। এই জুটিই ভারতকে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখায়। রাহুল ধীর গতিতে ব্যাটিং করলেও কোহলি রান তুলতে থাকে ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করে। তবে ব্যক্তিগত ৭৮ রানে আটকে যেতে হয় ভারতীয় দলপতিকে।
চতুর্থ উইকেটে রোহিত শর্মার সঙ্গে রাহুলের ৫৫ রানের আরেকটি পার্টনারশীপ। এবার রাহুল নিজেই আউট হয়ে যান। ১০৮ রানে তাকে থামতে হয়। পরে স্টুয়ার্ট বিনি ও ঋদ্ধিমান সাহাকে নিয়ে আরও দুটি জুটি গড়ে ভারতের স্কোর তিনশ পার হয়। শেষ বিকালে আর মনোসংযোগ ধরে রাখতে পারেননি রোহিত। আউট হয়েছেন ৭৯ রানে। রোহিত শর্মা আউট হওয়ার পর শেষ হয়ে যায় দিনের খেলা। উইকেটে ১০ রানে অপরাজিত রয়েছেন ঋদ্ধিমান। লঙ্কান বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ধাম্মিকা প্রসাদ ও রঙ্গনা হেরাথ। একটি করে উইকেট নিয়েছেন ম্যাথুজ ও চামিরা।
(প্রথম দিন শেষে)
ভারত : ৩১৯/৬ (৮৭.২ ওভার) (রাহুল ১০৮, রোহিত ৭৯, কোহলি ৭৮; প্রসাদ ২/৭২, হেরাথ ২/৭৩)।