বিপিএলের চতুর্থ আসরের প্রথম পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই রংপুর রাইডার্সের মুখোমুখি হয়েছিল চিটাগাং ভাইকিংস। তবে সেই ম্যাচটি সুখকর হয়নি চিটাগংয়ের। প্রথমে ব্যাট করে সেদিন তামিমের দল সংগ্রহ করেছিল ১২৪ রান। জবাবে ৯ উইকেট আর ৩০ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রংপুর রাইডার্স।
সেই ম্যাচেরই কী দারুণ পুনরাবৃত্তি ঘটলো ফিরতি পর্বে এসে! এবার ভাইকিংসরা। অর্থাৎ এবার প্রথম ব্যাট করে রংপুর করলো ১২৪ রান। জবাবে ২৪ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটেই ম্যাচ জিতে নিলো তামিম-গেইলরা। এটা চিটাগংয়ের টানা চতুর্থ জয়।
ওপেনার তামিম ইকবাল ৯টি চার ও এক ছক্কায় ৪৮ বলে ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন। অপর প্রান্তে থাকা এনামুল হকের ব্যাট থেকে আসে ২২ বলে ২২। এর আগে, তামিমের সঙ্গী হিসেবে মাঠে নেমে ২৬ বলে ৪০ রান করে আউট হন ক্যারিবীয় ‘ব্যাটিং দানব’ ক্রিস গেইল। তাতে ছিল ২টি চার ও ৪টি ছক্কার মার। নবম ওভারে শহীদ আফ্রিদিকে পরপর দুই ছক্কা হাঁকানোর পর শেষ বলে আনোয়ার আলীর হাতে ধরা পড়েন।
এর আগে, বিকালে টস জিতে ব্যাটিংয়ের নামে রংপুর। শুরুটা ভালো হলেও ফর্মহীনতায় ভোগা সৌম্য সরকার লম্বা ইনিংস খেলতে আবারও ব্যর্থ হন। ২১ বলে ২৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। দশম ওভারে দুই উইকেট নিয়ে রংপুরকে চাপের মুখেই ফেলেন তাসকিন আহমেদ। মিঠুনের (১২) পর ওপেনার শাহজাদকেও (২১) বোল্ড করেন চিটাগং ভাইকিংসের পেস তারকা। এরপর ১২তম ওভারে ব্যক্তিগত ৩ রানে নাঈম ‘রিটায়ার্ড হার্ট’ হয়ে মাঠ ছাড়লে রংপুর তাকিয়ে ছিল আফ্রিদির ব্যাটে। এক ছক্কা মাত্র ১৩ রান করে দলকে হতাশই করেন তিনি। ১৬তম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন আফগান অলরাউন্ডার নবী। ‘বুমবুম’ অাফ্রিদির পর লিয়াম ডসনকে (১৪) সাজঘরে পাঠান তিনি। শেষ ওভারে মুক্তার আলীর (৪) রান আউটে ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটে।
বিডি-প্রতিদিন/২৭ নভেম্বর, ২০১৬/মাহবুব